চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আইফোন সরবরাহ ১০ শতাংশ কমতে পারে। চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আইফোন সরবরাহে শ্লথগতি আসবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন অ্যাপল পণ্য বিশ্লেষক মিং-চি কুও। তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চীনসহ বৈশ্বিক প্রযুক্তি শিল্প কঠিন সময় পার করছে। এর সব থেকে বড় প্রভাব অ্যাপলের সরবরাহ চেইনে পড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছেন তিনি।
মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল চীনে সব করপোরেট অফিস, কল সেন্টার এরই মধ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া করোনাভাইরাস থেকে কর্মীদের সুরক্ষার কথা ভেবে চীনে সব স্টোর, কার্যক্রম ও কর্মীদের চীন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ফলে চলতি বছরের প্রথমার্ধে আইফোন উৎপাদনের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছিল, তা সম্পন্ন করা সম্ভব নাও হতে পারে বলে মনে করেন মিং-চি কুও।
অ্যাপল স্মার্টফোন উৎপাদন ও সরবরাহে চীনের চুক্তিভিত্তিক নির্মাতাদের ওপর নির্ভরশীল। অনেক উৎপাদন কারখানা দেশটির উহান ও হুবেই প্রদেশে অবস্থিত। যেগুলো কার্যক্রম করোনাভাইরাসের কারণে সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে। এতে অ্যাপলের পণ্য উৎপাদন চেইন ব্যাহত হয়ে সরবরাহে সামগ্রিকভাবে ঝুঁকির মুখোমুখি ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন কুও।
তিনি বলেন, চলতি বছর চীনে আইফোনের সরবরাহ ১৫ শতাংশ কমে ৩১ কোটি ইউনিটে দাঁড়াবে। এ সরবরাহ কমতির প্রধান কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে গ্রাহকদের আস্থা সংকটকে দায়ী করছেন।
অবশ্য চুক্তিভিত্তিক অ্যাপল পণ্য সরবরাহকারী ফক্সকন এর আগে অ্যাপলকে আশ্বাস দিয়েছিল যে তারা চীনে তাদের উৎপাদন অব্যাহত রাখবে। কিন্তু পরবর্তীতে আইফোন উৎপাদন কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চীনে করোনাভাইরাসের কারণে অ্যাপল ছাড়াও অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।