নারীর ছদ্মবেশে কয়েক ডজন ইসরায়েলি সৈন্যের স্মার্টফোনে হ্যাকিং চালিয়েছে ফিলিস্তিনী সংগঠন হামাস।
সোমবার বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হ্যাকিংয়ের বিষয়টি স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘তথ্য ফাঁসের উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা ঘটেনি’।
হ্যাকিংয়ের এই ঘটনায় ইসরায়েলি সৈন্যদেরকে যুবতী নারীর ছবি পাঠিয়ে একটি অ্যাপ ডাউনলোডের প্রলোভন দেখানো হয়েছে। এর মাধ্যমে যে ফোনের অ্যাকসেস নেওয়া হবে তা সৈন্যরা বুঝতে পারেননি বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র।
স্ক্যাম শনাক্ত হওয়ার আগে “তথ্য ফাঁসের কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি” বলেও জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তৃতীয়বার ইসরায়েলি সৈন্যদের ফোনে হামলার চেষ্টা চালালো হামাস। এর মধ্যে এটিই সবচেয়ে গুরুতর।
সেনাবাহিনীর ওই মুখপাত্র বলেন, যুবতী নারীর ছদ্মবেশ নিয়েছিলেন হ্যাকার। তার ভাষা ছিলো ভাঙ্গা ভাঙ্গা হিব্রু। সৈন্যদের আশ্বস্ত করতে অভিবাসী বা দৃষ্টি বা বাক প্রতিবন্ধী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন ওই হ্যাকার।
বন্ধুত্ব গড়ে ওঠার পর ছবি আদান প্রদানের কথা সৈন্যদেরকে ম্যালওয়্যার ডাউনলোড করানো হয় বলেও জানানো হয়েছে।
লিঙ্কটি একবার খুললেই প্রোগ্রামার ডিভাইসে ভাইরাস ইনস্টল করে এটির ডেটা অ্যাকসেস করতে পারেন। এই ডেটার মধ্যে রয়েছে লোকেশন তথ্য, ছবি এবং কন্টাক্টস। গ্রাহকের অজান্তেই ডিভাইসটি দিয়ে ছবি তোলা এবং রেকর্ড করতে পারেন হ্যাকার।
হ্যাকিংয়ের বিষয়টি কয়েক মাস আগেই ধরতে পেরেছে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)। এটি পুরোপুরি বন্ধ করার আগে নিজেদের নজরদারিতে হ্যাকিং চালিয়ে যেতে দিয়েছে তারা।
স্মার্টফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে আগেই সৈন্যদেরকে সতর্ক করেছে আইডিএফ। হ্যাকিংয়ের চেষ্টা প্রতিহত করতেও সৈন্যদেরকে নীতিমালা দেওয়া হয়েছে।