করোনাভাইরাসের প্রভাবে চীনে উৎপাদন হ্রাস পাওয়ায় বিশ্বব্যাপী আইফোনের সরবরাহ কম হবে বলে জানিয়েছে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। এতে তাদের আয়ও কমবে। অন্যদিকে স্মার্টফোন উৎপাদনে চীনের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভিয়েতনামে উৎপাদন বাড়ানোয় দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের উৎপাদনের প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকছে তারা।
মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অ্যাপল প্রথম আয়ে করোনাভাইরাসের প্রভাবের কথা উল্লেখ করল। প্রতিষ্ঠানটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ বছরের প্রথম প্রান্তিকের জন্য রাজস্বের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল, তা পূরণ করার আশা করছে না অ্যাপল। চীনে বেশির ভাগ দোকান বন্ধ বা অপেক্ষাকৃত কম সময় ধরে চালু থাকায় অ্যাপলের পণ্যের বিক্রি হ্রাস পাবে বলে দাবি তাদের।
বিশ্লেষকদের অনুমান, করোনাভাইরাসের প্রভাবে প্রথম প্রান্তিকে স্মার্টফোনের বৃহত্তম বাজার চীনে চাহিদা অর্ধেকে নেমে আসতে পারে।
যদিও আশা করা হচ্ছে, কারখানা এবং পণ্যের দোকানগুলো ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। তবে অ্যাপলের এই সংকটে পরিষ্কার বোঝা যায়, চীনা অর্থনীতি করোনাভাইরাসে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তা ছাড়া বন্ধ থাকা কারখানাগুলো পুনরায় চালু হতে শুরু করলেও কর্মীর অভাব এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে উৎপাদন হার সীমিত রয়েছে।
অ্যাপলের মতো একই অবস্থা চীনা স্মার্টফোন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান শাওমিরও। আর হুয়াওয়ে এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, চীনভিত্তিক যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এর প্রভাব হুয়াওয়ের ওপরও পড়বে।
শুধু উৎপাদনই না, বিক্রির দিক থেকেও স্যামসাংয়ের ঝুঁকি কম। মূল কারণ চীনে স্যামসাংয়ের সেটের চাহিদা কম। ফলে অ্যাপল ও অন্যদের তুলনায় লোকসানের আশঙ্কা কম তাদের।
স্যামসাংয়ের যন্ত্রাংশ সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, এমন প্রতিকূল পরিবেশে অ্যাপল ও অন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় স্যামসাং সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। সবার সামনে তা স্বীকার না করলেও স্যামসাং এ নিয়ে স্বস্তিতে রয়েছে বলে জানান তিনি। সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি