বর্তমান সময়ে ফেইসলক হলো নতুন ফেসবুক ইউজারদের জন্য নিয়মিত এক আতঙ্কের নাম। ফেইসলক বর্তমানে ফেসবুকের একটি বিরাট সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ আপনি যখনই কোনো আইডি খুলতে যাবেন তখনই দেখা যায় আপনার আইডিটি ফেইসলক হয়ে যায়।
এই ফিচারটি আনার মূল লক্ষ্য হলো ফেসবুকের সব ফেইক আইডিকে দমন করা।কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় আসল আইডিগুলো ফেইসলক হয়ে যায়। তারপর অনেকদিন লক থাকার পরে ফেইসলেকর কারণে ডিজেবল হয়ে যায়।
ফেইসলকে পড়ার মূল কারণ হচ্ছে যাতে কোনো ব্যক্তি একাধিক ফেসবুক আইডি খুলতে না পারে। কিন্তু এতে করে অনেক ফেইক আইডির কারণে অনেক সময় আমাদের রিয়েল অ্যাকাউন্টও ফেইসলকে পড়ে যায়।
অনেক সময় অ্যাকটিভ ফেসবুক আইডিও ফেইসলকে পড়ে। বিশেষ করে যদি কোনো ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন/এডিটর অনুরোধ কনফার্ম করতে গেলেই আপনাকে পড়তে হতে পারে ফেইসলক নামক অপশনে। এতে আপনি হারাতে পারেন আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট।
এই বিষয়ে ক্রাফের টেকনিক্যাল ক্রু বিএম ইয়ামিন বলেন, ফেইসলক থেকে মুক্তি পাওয়া অনেক ঝামেলার ব্যাপার। কেউ চাইলেও এ থেকে মুক্তি পেতে পারে না। তবে কিছু বিষয়কে এড়িয়ে চললে হয়তো ফেইসলক নাও পড়তে পারে। তাই একের অধিক আইডি খোলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
ফেইসলক থেকে আইডিগুলোকে রক্ষা করতে কি ধরনের সতর্ক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে এই বিষয়ে ক্রাফের প্রেসিডেন্ট জেনিফার আলম তার পরামর্শে বলেন, বার বার আইডি লগ ইন লগ আউট না করা, সব সময় আসল নাম ব্যবহার করা, ভিপিএন কানেক্ট করে কখনই ফেসবুকে প্রবেশ না করা, অধিক মাত্রায় ফ্রেন্ড অ্যাড ও রিকুয়েস্ট না পাঠানো ও একই ডিভাইস ব্যবহার করে একের অধিক আইডিতে প্রবেশ না করা।
ফেইসলকের ফিচারটি একদিকে যেমন ফেইক আইডির মাধ্যমে ঘটে যাওয়া নানা রকম হ্যারাসমেন্টের হার কমিয়ে আনবে, অন্যদিকে সঠিকভাবে ব্যবহার এবং অন্যের প্রতিহিংসা বা ভুলের কারণে হারাতে হতে পারে আসল আইডিটিও। তাই ফেসবুকে নিজের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ ফেইসলক থেকে বাঁচার জন্য।