গুগল মোবাইল সার্ভিসেস বা জিএমএস এর বিকল্প সব সেবাই মিলবে হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ মেট ৩০ প্রো’তে। এর পরিবর্তে ফোনটিতে যুক্ত করা হয়েছে হুয়াওয়ের সমৃদ্ধ মোবাইল সার্ভিসেস (এইচএমএস)। ফলে গুগল প্লে স্টোরের বদলে এ ফোনটিতে থাকছে হুয়াওয়ের নিজস্ব অ্যাপ গ্যালারি। তবে অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ১০। জানা গেছে, খুব শিগগরিই বাংলাদেশে ফোনটির প্রি-বুকিং শুরু হবে।
বিকল্প সেবা হিসেবে গুগল ড্রাইভ ও ফটোজের পরিবর্তে নিজস্ব মোবাইল ক্লাউড সেবা দিচ্ছে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের তৈরি ব্রাউজার ব্যবহার করা যাবে গুগল ক্রোমের পরিবর্তে। রয়েছে হুয়াওয়ের নিজস্ব ভিডিও স্ট্রিমিং সুবিধা। এছাড়াও ইউটিউব ও জিমেইলের অ্যাপস প্রি-ইনস্টল করা না থাকলেও তৃতীয় পক্ষের বিভিন্ন অ্যাপস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের স্টোর থেকে অ্যাপসগুলো ডাউনলোড করা যাবে। আর ফোনে থাকা ব্রাউজার দিয়েও এ সেবাগুলো উপভোগ করা যাবে অনায়াসেই।
গতবছরের সেপ্টেম্বরে বিশ্ববাজারে আসার আগে থেকেই ফোনটিতে গুগল ‘থাকা-না থাকা’ নিয়ে নানারকম গুঞ্জন ছিল। অবশেষে গুগল ছাড়াই ফোন এনে সবার দৃষ্টি কাড়ে হুয়াওয়ে।
https://www.facebook.com/Techzoom.TV/videos/497437681207425/
হুয়াওয়ের মেট ৩০ প্রো স্মার্টফোনটি সমৃদ্ধ সব ফিচারের কারণে ইতোমধ্যেই বিশ্ববাজারে বেশ নাম কুঁড়িয়েছে। ফোনটিতে রয়েছে ৬.৫৩ ইঞ্চির ফুল এইচডি প্লাস এবং ওএলইডি হরিজন ডিসপ্লে। হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ এ স্মার্টফোনটি আইপি (ইনগ্রেস প্রটেকশন) ৬৮ সার্টিফাইড।
প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে হুয়াওয়ের সর্বাধুনিক কিরিন ৯৯০ চিপসেট। ৮ জিবি র্যামের এ ফোনটিতে রয়েছে ২৫৬ জিবি রম সুবিধা। এছাড়াও এক্সটারনাল মেমোরির জন্য ২৫৬ জিবি পর্যন্ত এসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে।
ফোনটির উন্নতমানের ক্যামেরা কনফিগারেশনের স্বীকৃতিও মিলেছে। ডিএক্সও মার্ক র্যাংকিংয়ে ১৩২ ফটো স্কোর নিয়ে এখন সবার ওপরে রয়েছে মেট ৩০ প্রো। ফোনটিতে রিয়ার ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ৪০ মেগাপিক্সেলের দু’টি ক্যামেরা। সামনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সলের একটি থ্রিডি ডেপথ সেন্সর ক্যামেরা।
ফোনটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৫০০ এমএএইচের শক্তিশালী ব্যাটারি। ৪০ ওয়াটের সুপারচার্জ সুবিধা থাকায় খুবই অল্প সময়ে দ্রুত চার্জ করা যাবে