রাজধানী থেকে ছিনতাই হওয়া অধিকাংশ মোবাইল ফোন যায় বসুন্ধরা সিটি ও মোতালেব প্লাজার বেশ কয়েকটি দোকানে। এসব মোবাইল কখনো পার্টস আবার কখনো মোবাইল হিসেবেই মানুষের কাছে বিক্রি করা হয় বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান আবদুল বাতেন।
শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ তথ্য জানান।
আব্দুল বাতেন জানান, ডিবির সব বিভাগ একসঙ্গে অভিযান পরিচালনা করে রাজধানী থেকে ৪২ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য মিলেছে। ছিনতাই হওয়া মোবাইল কোথায় যায়, এটা নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে আমরা দেখেছি- বসুন্ধরা, মোতালেব প্লাজার অনেক দোকানদার আছে যারা এসব মোবাইল কিনে থাকে। ছিনতাই হওয়া এসব মোবাইল সরাসরি বিক্রি না করে পার্টস খুলে বিক্রি করা হয়। এসব পার্টস বিক্রি করলে যে লাভ হয়, তা মোবাইল বিক্রি করলেও হয় না।’
পুলিশের এ গোয়েন্দা প্রধান বলেন, ‘ছিনতাই বা চোরাই মোবাইল বিক্রি ও কেনার সঙ্গে কারা জড়িত তাদেরকে আমরা চিহ্নিত করেছি। অচিরেই সেসব জায়গায় অভিযান চালানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘৪২ জন এই ছিনতাইকারীরা পেশাদার এবং অনেকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় মামলা আছে। তাদের কাছ থেকে ৮৫টি ছিনতাই হওয়া মোবাইল, চাপাতি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পূর্বের ছিনতাই মামলা এবং যারা প্রতিনিয়ত ছিনতাই করে তাদেরকেই ধরা হয়েছে।’
অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আব্দুল বাতেন বলেন, ছিনতাইকারীরা সুযোগ পেলেই ছিনতাইয়ের কাজটি করে। তাদের আইনের আওতায় এনে পূর্ণাঙ্গ সাজার ব্যবস্থা না করা হলে অপরাধ কমানো সম্ভব হবে না। বেশির ভাগ সময় বাস-লঞ্চ টার্মিনাল এবং অন্ধকার গলিতে ছিনতাই হয়ে থাকে। আর সেটা গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত। আমরা সেসব জায়গায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করছি।’