নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে কর্মীদের বাড়িতে বসে কাজ করতে বলেছে টুইটার। একই সঙ্গে এই মাসের সংবাদ সম্মেলনও সরিয়ে অন্যত্র নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গুগল, ফেসবুকসহ প্রথম সারির অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোও কভিড-১৯ এর বিস্তার প্রতিরোধে একই পথে হাঁটছে।
একটি ব্লগ পোস্টে টুইটার জানায়, হংকং, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মচারীদের জন্য ঘরে বসে কাজ করা নির্দেশনা আগেই দেয়া হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি ভাইরাস আরো ভয়াবহ রূপ নেয়ায় বিশ্বব্যাপী পাঁচ হাজার কর্মীকে অফিসে না আসার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এর কিছুদিন আগেই কর্মীদের অপ্রয়োজনীয় ব্যবসায়িক ভ্রমণ এবং ইভেন্টে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে টুইটারের মাসিক সংবাদ সম্মেলন দক্ষিণের পরিবর্তে দক্ষিণ-পশ্চিমে সরিয়ে নেয়। সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিনে। ফেসবুক এবং গুগলসহ অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাও যুক্তরাষ্ট্রে সম্মেলন স্থগিত বা বাতিল করেছে। ফেসবুকও সংবাদ সম্মেলনের স্থান পরিবর্তন করেছে।
টুইটারের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান জেনিফার ক্রিস্টি বলেন, আমাদের লক্ষ্য কভিড -১৯ বা নভেল করোনভাইরাসের বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা হ্রাস করা।
টুইটারের মতো ডাবলিনে গুগলের ইউরোপীয় সদর দপ্তরের কর্মীরাও আজ মঙ্গলবার ঘরে বসেই কাজ করবেন। প্রতিষ্ঠানটি আয়ারল্যান্ডে সম্ভাব্য প্রকোপ মোকাবেলায় পরীক্ষামূলক প্রস্তুতি হিসেবে এটি করছে। তবে গুগলের প্রায় আট হাজার কর্মী আগামী বুধবার আবার স্বাভাবিকভাবে অফিস করবেন।
একই সঙ্গে টেলিকম অপারেটর অ্যাটিঅ্যান্ডটি এবং ব্যাংকিং জায়ান্ট সিটি গ্রুপসহ বেশ কয়েকটি সংস্থা কর্মীদের এশিয়া ভ্রমণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
এশিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বজুড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ৩ হাজার পেরিয়ে গেছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৯০ হাজারের বেশি। এ পরিস্থিতিতে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো সেবা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন ও নিরবচ্ছিন্ন রাখতে নানা বিকল্প পথ নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
সূত্র: বিবিসি