করোনাভাইরাসের জন্য সাতশ’ প্রকৌশলীকে আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে (কোয়ারেন্টিন) না পাঠাতে ভিয়েতনাম সরকারকে অনুরোধ করেছে স্যামসাং ডিসপ্লে। প্রতিষ্ঠানের যুক্তি, নতুন স্মার্টফোনের জন্য পর্দা উৎপাদনের প্রস্তুতি নিতে হবে তাদের।
সংক্রমণ ছড়ানো বন্ধে করোনাভাইরাস আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ভিয়েতনামে সফরকারীদেরকে বাধ্যতামূলকভাবে ১৪ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে ভিয়েতনাম সরকার। এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির শরীরে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। ইতোমধ্যে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে ৬০টির বেশি দেশে। চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি যে দেশগুলো আক্রান্ত হয়েছে তার একটি দক্ষিণ কোরিয়া।
দক্ষিণ কোরিয়া থেকে সফরকারী প্রকৌশলীরা যদি মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখাতে পারেন তাহলে তাদেরকে যাতে পর্যবেক্ষণে পাঠানো না হয় সে বিষয়ে ভিয়েতনাম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে স্যামসাং ডিসপ্লে ।
ভিয়েতনামের সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি স্যামসাং। দেশটিতে স্মার্টফোনের জন্য ওলেড পর্দা উৎপাদনের একটি কারখানা রয়েছে স্যামসাং ডিসপ্লে’র। এই পর্দাগুলো ব্যবহার করা হয় স্যামসাং ইলেকট্রনিকস, অ্যাপল এবং হুয়াওয়ের স্মার্টফোনে।
বিষয়টি নিয়ে অবগত এক ব্যক্তি রয়টার্সকে বলেছেন, “বছরের এই সময়ে স্যামসাং ডিসপ্লে কোরিয়া থেকে ভিয়েতনামে প্রকৌশলী পাঠায়, যাতে তারা নতুন পণ্যের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। এই পণ্যগুলো বছরের দ্বিতীয়ার্ধে উন্মোচনের পরিকল্পনা থাকে।”
“সফরে সীমাবদ্ধতা এই পরিকল্পনায় বাধা হতে পারে,” যোগ করেন ওই মুখপাত্র।
দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার ভিয়েতনাম। পাশাপাশি কোরিয়ান আমদানির পঞ্চম বৃহত্তম বাজার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটি। ভিয়েতনামের এক চতুর্থাংশ রপ্তানিই আসে স্যামসাং ইলেকট্রনিকস-এর জন্য। বিশ্বজুড়ে স্যামসাং যে স্মার্টফোন তৈরি করে তার অর্ধেকের বেশি প্রস্তুত করা হয় ভিয়েতনামে।