ল্যাপটপে আকাশ থেকে চালানো হামলা ঠেকানোর মিসাইল সিস্টেম ‘লেফ্লাসিস ওৎসেলট’ ধ্বংসের নির্দেশনা পাওয়া গেছে৷
জার্মান সামরিক বাহিনী ২০০১ সালে লেফ্লাসিস ওৎসেলটের ব্যবহার শুরু করে৷ এখনও সেটি ব্যবহৃত হচ্ছে৷
কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা জার্মান সফটওয়্যার কোম্পানি ‘জি ডাটা’র কর্মীরা ল্যাপটপটি কিনেছিলেন৷
জার্মান গণমাধ্যম ‘ডেয়ার স্পিগেল’ প্রথম এই খবর প্রকাশ করে৷
জি ডাটা কোম্পানির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ টিম ব্যার্গহোফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ল্যাপটপে ঢুকতে উইন্ডোজ পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন পড়েনি৷ আর গোপন তথ্যের যে ফাইল, তাতে এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়েছিল, যা সহজেই অনুমান করা যায়৷ ফলে সংশ্লিষ্ট ফাইলে সহজে ঢোকা গেছে৷
একটি রিসাইক্লিং কোম্পানি ল্যাপটপটি বিক্রি করেছিল৷
জার্মানির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ডেয়ার স্পিগেলকে জানিয়েছে, বিক্রির আগে ল্যাপটপের সব তথ্য মোছার দায়িত্ব ছিল ঐ রিসাইক্লিং কোম্পানির৷ ‘‘রিসাইক্লিংয়ের সময় কোনো ভুল হয়েছিল বলে ধারণা করা যায়,’’ বলে ডেয়ার স্পিগেলকে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র৷
ল্যাপটপে পাওয়া তথ্য সম্ভাব্য শত্রুদের জরুরি কোনো তথ্য দেয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷
২০১৯ সালে একজন বন কর্মকর্তা জার্মানির বিভিন্ন সরকারি কর্তৃপক্ষের আয়োজিত নিলাম থেকে চারটি ল্যাপটপ কিনেছিলেন৷ সেগুলোতেও সংবেদনশীল তথ্য পাওয়া গিয়েছিল৷