প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমণে বিশ্বে মহামারীর মুখে আক্রান্তদের শনাক্ত করতে ক্লিনিক্যাল ডায়াগনোসিস স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে সিটি কোয়ান্টিফিকেশনকে অন্তর্ভুক্ত করেছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় এরইমধ্যে চীনের হুবেই প্রদেশে এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে।
‘কোভিড-১৯’ আক্রান্তদের শনাক্ত ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে অন্যতম কার্যকর একটি পদ্ধতি হচ্ছে ‘সিটি কোয়ান্টিফিকেশন’, যেটি দ্রুততার সঙ্গে রোগ নির্ণয় এবং রোগের বর্তমান অবস্থার কার্যকর মূল্যায়নের মাধ্যমে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করে। আবার নিজস্ব কম্পিউটার ভিশন এবং মেডিক্যাল ইমেজ বিশ্লেষণ প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাল্টিপল পালমোনারি গ্রাউন্ড গ্লাস ওপাসিটিস (সিজিও-স) ও ফুসফুস একত্রীকরণের মাধ্যমে আক্রান্ত রোগীর ফুসফুসের ‘সিটি’ রিপোর্টের গুণগত মূল্যায়ন করে হুয়াওয়ে ক্লাউড।
ক্লিনিক্যাল তথ্য-উপাত্ত এবং গবেষণাগারে প্রাপ্ত ফলাফলের মধ্যে সমন্বয় ঘটিয়ে এটি ‘কোভিড-১৯’ আক্রান্ত রোগীর বর্তমান অবস্থা ও রোগের পর্যায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য সরবরাহ করে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়ায় ডাক্তারদের সহায়তাও করে।
এছাড়া হাসপাতালে শনাক্ত রোগীর ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সহায্যে রোগীর নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পাশাপাশি এটি স্বল্প সময়ের মধ্যে একাধিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার তথ্য-উপাত্তের গুণগত বিশ্লেষণ করতে পারে। যা রোগের অবস্থার যথাযথ মূল্যায়নের ভিত্তিতে রোগীকে সঠিক চিকিৎসা দিতে সহায়তা করে।
কোভিড-১৯ আক্রান্ত হবার পর ফুসফুসে সৃষ্টি হওয়া অসংখ্য ক্ষত এবং সেই ক্ষতগুলোর অবস্থার দ্রুত পরিবর্তনের কারণে স্বল্প সময়ের মধ্যে একই পরীক্ষা একাধিকবার করার পাশাপাশি বার বার ফুসফুসের ইমেজ পর্যালোচনার প্রয়োজন হয়। ফলে ইমেজিং ডাক্তারদের কাজের চাপ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। কিন্তু বড় দুঃসংবাদটি হচ্ছে, ইমেজিং ডাক্তারদের মধ্যে যারা নিখুঁতভাবে ‘কোভিড-১৯’ নির্ণয় এবং রোগের পরিমাণগত বিশ্লেষণ করতে সিদ্ধহস্ত, তাদের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। আর এটি যেহেতু দক্ষতার বিষয়, সুতরাং চাইলেই এক্ষেত্রে রাতারাতি উন্নতি সাধন সম্ভব না।
এই সীমাবদ্ধতা দূর করার বিষয়টি মাথায় রেখে কিছুদিন আগে ‘কোভিড-১৯’ নির্ণয় ও চিকিৎসায় পরিমাণগত মেডিক্যাল ইমেজ বিশ্লেষণ সেবার উন্নয়ন ও প্রচলনে হুয়াজং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ল্যানওন প্রযুক্তির সঙ্গে কাজ শুরু করেছে হুয়াওয়ে ক্লাউড।
কম্পিউটার ভিশন এবং মেডিক্যাল চিত্র বিশ্লেষণের মতো হুয়াওয়ে ক্লাউডের শীর্ষস্থানীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির সহায়তায় বর্তমানে তারা স্বয়ংক্রিয়ভাবে, দ্রুত ও সঠিকভাবে সিটি কোয়ান্টিফিকেশনের ফলাফল চিত্রাকারে প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে কোভিড-১৯ নির্ণয়ে দক্ষ ইমেজিং ডাক্তারদের যে ঘাটতিটি ছিল, সেটি দূর হয়েছে। এছাড়া কোয়ারেন্টাইন চাপ থেকে মুক্তির পাশাপাশি ডাক্তারদের ওপর থেকে কাজের বাড়তি চাপের বোঝাও সরে গেছে।
হুয়াওয়ে ক্লাউডের নতুন এই পরিষেবাটি হুয়াওয়ে অ্যাসেন্ড সিরিজের এআই চিপের শক্তিশালী গণনা ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে করা হচ্ছে। এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই যেকোনো নমুনার কোয়ান্টাইজেশন ফলাফল বের করে দিতে পারছে।
হুয়াওয়ে ক্লাউডের ‘কোভিড-১৯’ মোকাবিলা সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন: https://www.huaweicloud.com/intl/en-us/product/eihealth.htm