করোনা ভাইরাসের সংকট মোকাবিলায় গ্রাহকদের জন্য নানা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড ও বিকাশ-রকেটের মতো সেবায় কোনো খরচ দিতে হবে না। পাশাপাশি জরুরি কেনাকাটায় লেনদেন সীমাও বাড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি বিশেষ পরিস্থিতিতে জরুরি সেবা চালুর জন্য পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সন্ধ্যায় এক প্রজ্ঞাপনে এমন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ও ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো মাশুল কাটা যাবে না। এভাবে দৈনিক সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ও প্রতি মাসে ১ লাখ টাকার জরুরি পণ্য কেনা যাবে। এর বেশি কেনাকাটায় মাশুল দিতে হবে।
একইভাবে বিকাশ-রকেটের মতো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে জরুরি কেনাকাটাতে কোনো মাশুল কাটা যাবে না। পাশাপাশি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে প্রতি মাসের লেনদেন সীমা ৭৫ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দিনে একবার ১ হাজার টাকা উত্তোলন করলে কোনো মাশুল কাটা যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, নিত্য প্রয়োজনীয় ও ওষুধ বিক্রয়কারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত ব্যাংক হিসাব, এমএফএস হিসাব, এজেন্ট ব্যাংকিং হিসাব ও পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার (পিএসপি) হিসাবকে ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করতে পারবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, প্রতিটি ব্যাংক শাখার ক্যাশ কাউন্টার, এজেন্ট ব্যাংকিং, এটিএম, পয়েন্ট অফ সেলস, ইন্টারনেট, অ্যাপ ও ইউএসএসডি ভিত্তিক সব লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে হবে। লেনদেনের স্থানে নিয়মিতভাবে জীবাণুমুক্ত রাখতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি সম্পর্কে গ্রাহকদের সচেতন করতে উদ্যোগ নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনা মোকাবিলায় সবার দায়িত্ব আছে। ব্যাংক ও এমএফএস সেবাদাতাদের এখনই এসব নির্দেশনা মানতে হবে।