মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে পুরো বিশ্ব। জিনের গঠন বদলে প্রতিনিয়ত আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে এই ভাইরাস। সনাক্ত করণের কার্যকর কিটের অভাবে বিশ্বজুড়ে নীরবে ছড়িয়েছে করোনা। বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রাথমিকভাবে এই ভাইরাসকে সনাক্ত করা সম্ভব হলে হয়তো অনেক প্রাণ বেঁচে যেত। তবে এবার সনাক্তের কার্যকর কিট তৈরি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
ডায়াগনস্টিক প্রযুক্তিতে সংক্রামক রোগ সনাক্ত করণের এই দুর্দান্ত কিট আবিষ্কারে সক্ষম হয়েছেন দেশটির বিজ্ঞানীরা। তাদের আবিষ্কৃত কোভিড-১৯ ডায়াগনস্টিক কিটটি আন্তর্জাতিক মানের হিসাবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। এ জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে কিটের জন্য অর্ডার আসছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কিছু দেশ এই রোগের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ডায়াগনস্টিক কিট সরবরাহ এসব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সহায়তা করছে। এটি বিদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার চিকিত্সা সরঞ্জাম সরবরাহের বাজারকে আরও প্রসারিত করবে বলে আশা করছে দেশটির চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
দক্ষিণ কোরিয়ার বাণিজ্য, শিল্প ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কোরিয়ান এজেন্সি ফর টেকনোলজি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস (কেএটিএস) এবং খাদ্য ও ড্রাগ সুরক্ষা মন্ত্রণালয় ২৯ শে মার্চ ঘোষণা করেছে যে, অণুজীব এবং রোগজীবাণু সনাক্তকরণের জন্য তাদের ডিএনএ অ্যামপ্লিফিকেশন পরীক্ষার পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (আইএসও) অনুমোদন পেয়েছে। আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রযুক্তিগত কমিটির (ডিআইএস) এটাকে আন্তর্জাতিক মানের বলে খসড়া অনোমোদন দিয়েছে।
এই খসড়া অনুমোদনটি ইন ভিট্রো ডায়াগনস্টিকসের নিউক্লিক অ্যাসিড পরিবর্ধন পদ্ধতির একটি স্বীকৃত পদ্ধতি। যা বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন, কোভিড -১৯ নির্ণয়ের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি দক্ষিণ কোরিয়ার কোভিড-১৯ ডায়াগোনস্টিক কিটগুলিতে ব্যবহৃত রিয়েল-টাইম ডিএনএ অ্যাম্পিলিফিকেশন পরীক্ষাসহ নিউক্লিক অ্যাসিড পরিবর্ধনের পরীক্ষার মান হিসাবে কাজ করতে পারে। আন্তর্জাতিক মান গ্রহণের পদ্ধতিতে, খসড়া স্ট্যান্ডার্ডের জন্য সমস্ত সদস্য রাষ্ট্রের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে কিটটি। এটিই এর চূড়ান্ত পর্যায়ে একমাত্র অবশিষ্ট পদক্ষেপ। চলতি বছর শেষের আগেই কিছু প্রত্যাশিত মান উন্নয়নের মাধ্যমে এটা আন্তর্জাতিক মানের হিসাবে গৃহীত হবে।