করোনায় যখন সারাদেশ লকডাউন তখন দেশের র্শীষ অনলাইন গ্রোসারি শপ চালডাল ডটকম সবাইকে সহযোগিতা করতে কাজ করে যাচ্ছে। লকডাউনের সময়টাই বেড়েছে চালডাল ডটকমের অর্ডার। আর অর্ডার বাড়ার কারণে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে ডেলিভারি কর্মী। প্রতিষ্ঠানটি এখন খুঁজছে তাদের নতুন সহকর্মী, সহযোদ্ধা। তাই এবার সুযোগ মিলছে চালডাল ডটকমে যুক্ত হয়ে কাজ করার।
চালডাল ডটকমের হেড অব গ্রোথ ওমর শরিফ ইবনে হাই বলেন, ‘করোনায় লকডাউন হওয়ায় প্রচুর অর্ডার বেড়েছে। তবে আমরা অর্ডার নিচ্ছি আমাদের ক্যাপাসিটি অনুযায়ী। যতটুকু ডেলিভারি দেয়া সম্ভব ততটুকুই অর্ডার প্রতিদিন নেয়া হচ্ছে। কারণ একটাই সব ক্রেতাই যেন পণ্যগুলো দ্রুত বুঝে পায়। আর বাড়তি চাপের কথা মাথায় রেখে চালডাল ডটকমে বর্তমানে প্রচুর কর্মী বা সহযোদ্ধা দরকার। তাই নিয়োগ দেবার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ কারণে সবার কাছে সহযোগিতা চাইছি। দরকার সহকর্মী বা পরিবারের নতুন সদস্য। যাদের এই মুহূর্তে কাজ প্রয়োজন, চাকরি নেই বা পার্টটাইম কাজ খুঁজছেন কিংবা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে চান তারা চালডালে সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
করোনার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কিভাবে আরো বেশি সহযোদ্ধা খুঁজে পাওয়া যাবে কারো কোনো পরামর্শ থাকলেও জানাতে পারেন বা ফেসবুকে কমেন্ট অথবা ইনবক্স করতে পারেন। আরো তথ্যের জন্য ০১৪০১১১০৭৫১, ০৯৬৪৩২১০০০৪ ও ০৯৬৪৩২১০০০৭ নম্বরে ফোন দিয়েও বিস্তারিত জানা যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ডেলিভারি টাইম ১/২ ঘন্টা থেকে বেড়ে ২/৩ দিনে গিয়েছে তবে পণ্য পাচ্ছেন সব গ্রাহকই। করোনা বিপর্যয়ে চালডালের বেশি চাপের কারণে প্রতিষ্ঠানটির সিইও, সিওও, ডিরেক্টররাও অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। কারণ গ্রাহকরা যেন কম সময়ে পণ্য হাতে পায়। সাপ্লাইচেইনের উপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে ভবিষ্যতে গ্রাহকদের পণ্যের কোনো অভাব এবং সমস্যাও যেন না হয়। এ ছাড়াও আগামী এক/দেড় মাসের মধ্যে আরো ১০টি ওয়্যারহাউজ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফলে ঢাকার আরো অনেক এলাকায় পণ্য পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে দ্রুত। তখন ডেলিভারির সময়ও লাগবে কম। করোনার এ পরিস্থিতিতে চালডাল সব সময় জনগনের প্রয়োজনে সহযোগিতায় কাজ করবে।’
ওমর শরিফ ইবনে হাই বলেন, ‘হোম ডেলিভারির ওপর চাপ বাড়ায় বাইকার, সাইক্লিস্ট, ডেলিভারি এক্সিকিউটিভ ও পণ্য বাছাইকারী প্রয়োজন। যাদের বেতন দেয়া হবে সাড়ে ১০ থেকে সাড়ে ১৬ হাজার টাকা। এ ছাড়াও ৩ দিন পর একদিন ছুটি এবং আকর্ষণীয় বোনাস দেয়া হবে।
আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদনের পাশাপাশি বনশ্রীর ব্যাংক কলোনি অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও করোনার বর্তমান সময়ে প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে যথাযথ সাবধানতা অবলম্বন এবং সুরক্ষা দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডেলিভারির কাজে নিয়োজিতদের সেফটি উপকরণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। যখন ডেলিভারি করতে যায় তখন সেফটি কিটস ব্যবহার করছে কিনা তা চেক করা হয়। ডেলিভারি পর কাস্টমারকেও কলসেন্টার থেকে ফোন দিয়ে ডেলিভারিতে কোনো সমস্যা বা ডেলিভারিম্যান গ্লাস এবং মাস্ক পড়ে ছিল কি না তা জানতে চাওয়া হচ্ছে।’