করোনা প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা মেনে সারাদেশের মানুষের ঘরবন্দি সময়ে জরুরী সেবা নিশ্চিত করতে বিকাশ এর উপর আস্থা রাখছেন। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি, ইন্টারনেট এর মত মৌলিক সেবা চালু রাখতে কোথাও না গিয়ে ঘরে বসেই যেকোন সময় বিকাশ দিয়ে ইউটিলিটি সেবার বিল পরিশোধের সুবিধা নিচ্ছেন তারা।
সারাদেশের ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির ২৭ লাখের বেশি প্রিপেইড গ্রাহক রয়েছে। যাদের বিদ্যুৎ সেবা চালু রাখতে তাৎক্ষণিক রিচার্জ প্রয়োজন হয়। বিকাশের মাধ্যমে তাৎক্ষনিক রিচার্জের সুবিধা নিতে পারেন সারাদেশের সকল স্মার্ট প্রিপেইড গ্রাহক। কিছু ভেন্ডিং মিটারের প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতার কারণে সীমিত সংখ্যক প্রিপেইড গ্রাহক বিকাশ দিয়ে রিচাজর্ করার সুবিধা নিতে পারেন না।
বিদ্যুতের পোস্টপেইড বিলের ক্ষেত্রে পল্লী বিদ্যুৎ,ডেসকো,নেসকো,ডিপিডিসি,পিডিবি ও ওজিপাডিকো মিলিয়ে যে ৩ কোটি ৬৫ লাখ গ্রাহক রয়েছেন তারা বিকাশ দিয়ে বিল পরিশোধ সেবা নিতে পারেন।
গত ২৬ মার্চ সরকারি ছুটি ঘোষিত হওয়ার পর থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই ২০ দিনে দশ লাখেরও বেশি গ্রাহক কোন ধরনের বাড়তি চার্জ ছাড়াই বিকাশে বিল পরিশোধ করে জরুরী সেবা অব্যহত রেখেছেন।
যেসব গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে ঘরের বাইরে যাচ্ছেন তারা ঝুঁকি না নিয়ে খুব সহজেই বিকাশ অ্যাপ অথবা *২৪৭# ডায়াল করে তার এলাকার বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির বিল পরিশোধ করতে পারেন।
এখন ক্যাশইনের পাশাপাশি বিকাশ একাউন্ট টাকা আনতে অ্যাড মানি সেবা( অনলাইন ব্যাংকিং বা কার্ডের মাধ্যমে ) ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া গ্রাহকদের সুবিধার্থে এই বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যেও সারাদেশের প্রায় অধিকাংশ বিকাশ এজেন্ট সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
বিকাশের চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার মিজানুর রশীদ বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের এই লড়াইয়ে মানুষকে নিরাপদে ঘরে থাকার ব্যবস্থা করতে জরুরী আর্থিক লেনদেন সেবা গুলো নিশ্চিত, নিরাপদ, সহজ ও ঝামেলামুক্ত রাখতে কাজ করে চলেছে বিকাশ।
বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি গুলোর সাথে সমন্বয় করে এই বিশেষ সময়ে গ্রাহকের সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রযুক্তিগত এবং অর্থনৈতিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিকাশ।
ফলে সারাদেশের মানুষ বিদ্যুৎ বিলের মত জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে সামাজিক দূরত্ব রেখে বিকাশ দিয়ে বিল পরিশোধ সেবা নিতে পারছেন।