নতুন করোনাভাইরাসের প্রকোপে স্থবির হয়ে গিয়েছে জনজীবন। থমকে গিয়েছে অর্থনীতির চাকা। মানুষের প্রাণহানী ঘটছে হাজারে হাজারে। এমন অবস্থায় এর চিকিৎসা কৌশল উদ্ভাবনের সঙ্গে সঙ্গে সম্ভব হলে তা হাতিয়ে নিতে চাইবে কোনো রাষ্ট্র– এমন আশঙ্কা কি অমূলক? জ্যেষ্ঠ্য এক এফবিআই কর্মকর্তা বলছেন, একেবারেই নয়।
কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা বের করতে গবেষণা চালাচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানগুলোয় অণুপ্রবেশ বেড়েছে বিদেশি রাষ্ট্রীয় হ্যাকারদের, এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই-এর উপ সহকারী পরিচালক টনিয়া উগরেটজ। — খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
টনিয়া একজন পেশাদার সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক। কাজ করছেন এফবিআইয়ের ‘সাইবার প্রস্তুতি, আউটরিচ এবং গোয়েন্দা’ শাখায়।
অ্যাসপেন ইনস্টিটিউট আয়োজিত অনলাইন প্যানেল আলোচনায় উগরেটজ বলেন, সম্প্রতি বেশ কিছু স্বাস্থ্যসেবা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রীয় হ্যাকারদের অণুপ্রবেশ লক্ষ্য করেছে সংস্থাটি।
উগরেটজ বলেন, “আমরা নজরদারি কার্যক্রম দেখতে পেয়েছি এবং কিছু প্রতিষ্ঠানে অণুপ্রবেশ ঘটেছে, বিশেষ করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো কোভিড-১৯ বিষয়ে গবেষণায় কাজ করছে বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছে।
যে প্রতিষ্ঠানগুলো করোনাভাইরাসের চিকিৎসা এবং সম্ভাব্য ওষুধ বানাতে কাজ করছে তারা প্রকাশ্যেই কাজটি করবে; এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। উগরেটজ বলেন, “তারপরও এর একটি খারাপ দিক হলো অন্যান্য রাষ্ট্র, যারা বিস্তারিত হাতিয়ে নিতে আগ্রহী তাদের কাছে লক্ষ্য হয়ে উঠবে এই প্রতিষ্ঠানগুলো। তারা জানতে চাইবে প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক কী করছে এবং এর ফলে গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও চুরি যেতে পারে।”
উগরেটজ বলেন, বায়োফার্মাসিউটিক্যাল খাতকে প্রতিনিয়ত লক্ষ্য বানিয়েছে রাষ্টীয় হ্যাকাররা। “কিন্তু এই সংকটের সময় এর মাত্রা বেড়ে গেছে” — বলেন তিনি।
অবশ্য, নির্দিষ্ট কোনো দেশ বা লক্ষ্যে পরিণত হওয়া প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেননি উগরেটজ।
এ নিয়ে প্রশ্ন করলে কোনো মন্তব্য করেনি এফবিআই।