বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল লেনদেন সেবা ‘নগদ’ তাদের প্রায় ২ লাখ সদস্যের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে। নগদ-এর উদ্যোক্তা, পরিবেশক কিংবা বিক্রয়কর্মীসহ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পৃক্ত কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানিয়েছে।
দেশ এখন গভীর সংকটে। করোনাভাইরাসের কারণে অফিস, ব্যবসা বাণিজ্য সবকিছুই থমকে গেছে। সামাজিক দূরত্বের কারণে একজন আরেকজনের কাছ থেকে দূরে। কিন্তু ‘নগদ’ কর্তৃপক্ষ মনে করে, মানবিকভাবে একে অপরের পাশে দাঁড়ানোর এটাই শ্রেষ্ঠ সময়।
এই দুর্যোগের সময়ে মানুষের ভোগান্তি কমাতে এবং আর্থিক সেবা পৌঁছে দিতে ‘নগদ’-এর উদ্যোক্তা, পরিবেশক, বিক্রয়কর্মীসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কর্মীদের ও তাদের পরিবারের পাশে থাকার প্রয়াস ও কৃতজ্ঞতা থেকেই নগদ এই উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রথম থেকেই সচেতন। এ কারণে ২৫ মার্চ থেকে ‘নগদ’-এর কর্মীরা ‘হোম অফিস’ করছেন। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে যারা মানুষের সেবার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত রয়েছেন, তাদের নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।
দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে ‘নগদ’ মার্চেন্ট টু মার্চেন্ট খরচ ৬ টাকায় নামিয়ে এনেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও ওষুধের ক্ষেত্রে মাশুল না নেওয়া এবং মাসে প্রথম এক হাজার টাকা ক্যাশ আউটে চার্জ না নেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছে।