প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ এর ভয়াল থাবা শুরু হওয়ার পর থেকেই বিশ্বজুড়ে প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে ভেন্টিলেটর বা কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রের। এরই ধারাবাহিকতায় সাশ্রয়ী ও সহজেই জুড়ে নেওয়া যাবে এমন ভেন্টিলেটরের ‘ওপেন সোর্স’ নকশা উন্মুক্ত করেছেন এনভিডিয়ার প্রধান বিজ্ঞানী বিল ড্যালি। এই ভেন্টিলেটরটির মাধ্যমে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশা করছেন তিনি।
দুটি উপাদানের ওপর নির্ভর করে ভেন্টিলেটরটি তৈরি করেছেন ড্যালি। উপাদান দুটি হচ্ছে ‘সোলনয়েড ভালভ’ এবং মাইক্রোকন্ট্রোলার। মাত্র কয়েকশ’ ডলারেই ভেন্টিলেটরটি তৈরি করা যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
ভেন্টিলিটর সম্পর্কিত এক ভিডিওতে ড্যালি বলেছেন, আমাদের মূল দর্শন হচ্ছে, যতো সহজে পারা যায়, ভেন্টিলেটর তৈরি করা যা দ্রুত উৎপাদন করা যাবে এবং সাশ্রয়ী হবে। একই সঙ্গে যা কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত রোগীদের সহায়তা করতে পারবে।
ডিভাইসটি বাতাসের প্রবাহ ও গতি সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারবে। চাইলে কয়েক মিনিটের মধ্যেই জুড়ে নেওয়া যাবে ভেন্টিলেটরটিকে। সাধারণ একটি পর্দার সঙ্গে সংযুক্ত ভেন্টিলেটরটি বহনযোগ্য পেলিক্যান কেইসে থাকবে বলেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
নমুনা বানাতে প্রায় ৪০০ ডলার খরচ করেছেন ড্যালি। বেশি সংখ্যায় তৈরি হলে উৎপাদন খরচ ৩০০-তে নেমে আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ‘ওপেন সোর্স’ এবং ‘থ্রিডি প্রিন্টেড’ যন্ত্রাংশ ব্যবহারে খরচ ১০০ ডলারেও নামিয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।
এনভিডিয়া প্রকাশিত এক ব্লগ পোস্টের তথ্য অনুসারে, গতানুগতিক ভেন্টিলেটরের দাম বিশ হাজার ডলারেরও বেশি হয়ে থাকে।
এ দিকে, ড্যালি বলেছেন, ‘মানুষ অসুস্থ হয়ে আছে কিন্তু ভেন্টিলেটর নেই- এমন পরিস্থিতি আমাদের দেখতে হবে না বলেই আশা করি। তবে, এমন যদি হয়, তাহলে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে আমরা প্রস্তুত।’