গত সপ্তাহের শেষে শাওমি ফোনের ব্রাউজার ডেটার সুরক্ষা নিয়ে ইন্টারনেটে ঝড় উঠে । দ্রুত সেই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করল চিনের সংস্থাটি। কোম্পানির মি ব্রাউজার , মি ব্রাউজার প্রো ও মিন্ট ব্রাউজার “ইনকগনিটো” মোডের তথ্য গ্রাহক শেয়ার করতে চান কি না তা বেছে নেওয়া যাবে। যদিও সুরক্ষা গবেষকদের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে শাওমি।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে শাওমি জানিয়েছে মি ব্রাউজার , মি ব্রাউজার প্রো ভার্সন ১২.১.৪ ও মিন্ট ব্রাউজার ভার্সন ৩.৪.৩ তে নতুন সুরক্ষা ফিচার থাকছে। সেখানে ইনকগনিটো মোদে তথ্য সংগ্রহ করার অনুমতি চেয়েছে কোম্পানি। গ্রাহক চাইলে এই অনুমতি যে কোন সময় বন্ধ অথবা চালু করতে পারবেন।
ডিফল্ট অপশনে এই ব্রাউজারগুলিতে তথ্য সংগ্রহের অনুমতি বন্ধ করা থাকবে। ব্রাউজার ওপেন করে Settings > Incognito mode settings থেকে এই অপশন দেখে নেওয়া যাবে। Enhanced Incognito mode চালু করলে আপনার ব্রাউজিং ডেটা সংগ্রহ করবে শাওমি।
গুগল প্লে থেকে মি ব্রাউজার প্রো ও মিন্ট ব্রাউজার আপডেট করা যাবে। অন্যদিকে শাওমি গ্রাহকরা Settings > System apps updater থেকে মি ব্রাউজার আপডেট করতে পারবেন।
সম্প্রতি ফোর্বস ম্যাগাজিনে প্রকাশিত রিপোর্টে গাবি সার্লিগ ও অ্যান্ড্রু টিয়ের্নি মি ব্রাউজার-এ সুরক্ষা গাফিলতি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও সেই দাবি অস্বীকার করে এই খবরকে ‘ভুল ও অসত্য’ বলেছিলেন শাওমি ভাইস প্রেসিডেন্ট মনু কুমার জৈন।
এর পরেই ভারতে শাওমি প্রধানের টুইটের উত্তরে একটি ভিডিও প্রকাশ করে মি ব্রাউজার -এ ইনকগনিটো মোড থেকে তথ্য চুরি করার প্রমাণ সহ একটি ভিডিও প্রকাশ করেন অ্যান্ড্রু টিয়ের্নি। ভিডিও প্রকাশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আপডেট পাঠিয়ে অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করল শাওমি।
ব্রাউজার ছাড়াও ফোনের বিভিন্ন স্ক্রিন ও ফোল্ডার ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহ করার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। সেই সব সুরক্ষার গাফিলতি ঠিক করতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি ভারতের এক নম্বর স্মার্টফোন কোম্পানিটি।