দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের এয়ার কন্ডিশনারে বিদ্যুৎ খরচ খুবই কম। ঘন্টায় মাত্র ৩.৭৪ টাকা। ফলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ইনভার্টার এসি ৫০ শতাংশেরও বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরীক্ষায় এসব তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের শুরুতে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন কারখানা থেকে ইনভার্টার প্রযুক্তির এক টনের স্পিøট এসির ৬টি নমুনা সংগ্রহ করে বুয়েট। ৩ ফেব্রুয়ারি বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. জহুরুল হক এবং ড. অলোক কুমার মজুমদারের তত্ত্বাবধানে এয়ার কন্ডিশনারের পাওয়ার কনজাম্পশন পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এতে দেখা যায় ইকো মুডে প্রতি ঘন্টায় ওয়ালটনের এক টনের ইনভার্টার এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় ০.৭১৫ কিলোওয়াট। বিদ্যুতের বর্তমান দাম অনুযায়ী যার মূল্য মাত্র ৩.৭৪ টাকা।
জানা গেছে, দেশেই নিজস্ব কারখানায় উচ্চমান বজায় রেখে এসি তৈরি করছে ওয়ালটন। এসির মান উন্নয়নে ওয়ালটনের রয়েছে শক্তিশালী আরএন্ডডি (গবেষণা ও উন্নয়ন) টিম। যারা প্রতিনিয়ত এসির ডিজাইন এবং মান নিয়ে গবেষণা করছেন। ফলে ওয়ালটন এসিতে যুক্ত হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। এরই ধারাবাহিকতায় ওয়ালটন এসিতে সংযুক্ত হয়েছে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি।
ওয়ালটন এসির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি, উচ্চমান, কম বিদ্যুৎ খরচ, সাশ্রয়ী দাম, সহজ কিস্তি সুবিধা, ফ্রি ইন্সটলেশন, সহজলভ্য ও দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবার নিশ্চয়তা ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের কারণে সারা দেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি।
ওয়ালটন এসির আরএন্ডডি বিভাগের প্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য ওয়ালটনের রয়েছে আইওটি বেজড ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী স্মার্ট ও ইনভার্টার এসি। এসব এসিতে ব্যবহৃত ইনভার্টার প্রযুক্তির কম্প্রেসর বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত। কম্প্রেসরে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব এইচএফসি গ্যাসমুক্ত আর-৪১০এ এবং আর-৩২ রেফ্রিজারেন্ট। রয়েছে টার্বোমুড ও আয়োনাইজার প্রযুক্তি, যা দ্রুত ঠান্ডা করার পাশাপাশি রুমের বাতাসকে ধুলা-ময়লা ও ব্যাকটেরিয়া থেকে মুক্ত করে। ইভাপোরেটর এবং কন্ডেন্সারে ব্যবহার করা হচ্ছে মরিচারোধক গোল্ডেন ফিন কালার প্রযুক্তি। যার ফলে ওয়ালটন এসি টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী।
ওয়ালটন এসি সেলস নেটওয়ার্ক ও ডেভেলপমেন্টের সমন্বয়ক খোন্দকার শাহরিয়ার মুরশিদ জানান, দেশজুড়ে তাদের রয়েছে ১৭ হাজারেরও বেশি সেলস আউটলেট। যেখানে যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি বদলে ২৫ শতাংশ ডিসকাউন্টে কেনা যাচ্ছে ওয়ালটনের নতুন এসি। এছাড়া, মাত্র ৪,৯০০ টাকা ডাউনপেমেন্টে এসি দিচ্ছে ওয়ালটন। রয়েছে ৩৬ মাসের সহজ কিস্তিসহ জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের ইএমআই সুবিধা।
পাশাপাশি ঘরে বসেই ওয়ালটনের নিজস্ব অনলাইন শপ ‘ইপ্লাজা ডট ওয়ালটনবিডি ডটকম’ (https://eplaza.waltonbd.com) থেকে ক্রেতারা তাদের পছন্দের এসি কিনতে পারছেন। ই-প্লাজা থেকে নগদ মূল্যে ক্রয়ের ক্ষেত্রে ওয়ালটন এসিতে ১০ শতাংশ ছাড় মিলছে। অনলাইন থেকে কেনা পণ্যের মূল্য ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড, অনলাইন ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ ইত্যাদির মাধ্যমে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। আছে ক্যাশ অন ডেলিভারির সুবিধা।
যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ গ্রাহকদের হোম ডেলিভারি দিচ্ছে ওয়ালটন। দক্ষ টেকনিশিয়ানগণ বিনামূল্যে গ্রাহকদের এসি ইন্সটলেশন করে দিচ্ছেন।
এসির ব্যাপক মানোন্নয়নের ফলে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি দিচ্ছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে একমাত্র ওয়ালটন এসিতেই রয়েছে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। পাশাপাশি ওয়ালটনের ইনভার্টার এসির কম্প্রেসরে রয়েছে ১০ বছরের গ্যারান্টি। আর নন-ইনভার্টার কম্প্রেসরের গ্যারান্টি ৩ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করেছে ওয়ালটন।
১, ১.৫ এবং ২ টনের স্পিøট এসির পাশাপাশি স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, হোটেলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ এসি ব্যাপকভাবে বাজারজাত করছে ওয়ালটন। আর বড় স্থাপনার জন্য ওয়ালটনের রয়েছে ভেরিয়্যাবল রেফ্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ (ঠজঋ) এবং চিলার (ঈযরষষবৎ) এসি।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে রয়েছে ৭৪টি সার্ভিস সেন্টার। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানগণ প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিসিং দিচ্ছেন।