তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকার দীর্ঘদিন ধরেই উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপে নজর দিয়ে আসছে, কারণ সেটি আমাদের ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার অন্যতম পন্থা।
স্থানীয় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল এবং স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম উন্নয়নে কাজ করা সংগঠন (ভিসিপিয়াব), অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল প্রস্তাবিত ২০২০-২১ সালের জাতীয় বাজেট নিয়ে এক ভার্চুয়াল গোলটেবিল বৈঠকে বিশেষ অতিথি বক্ত্যবে এই কথা বলেন তিনি ।
তিনি আরো বলেন, আমরা আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে ছোট-বড় সব ধরণের ব্যবসায়ের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ চালু করেছি। স্টার্টআপ বাংলাদেশ তার অ্যাক্সেলারেটর প্রোগ্রাম এবং স্টার্টআপ ফান্ডের মাধ্যমে দেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেমকে সহায়তা করছে। আমরা আগামীতেও যাতে স্টার্টআপগুলো বেড়ে উঠতে পারে তার জন্য নীতিগত ও আর্থিক সহায়তা অব্যহত রাখবো।
পলক বলেন, স্টার্টআপরা গত চার বছর ধরে আমাদের জিডিপিতে ১ শতাংশ ভূমিকা রাখছে। এটা বাড়ানোর জন্য ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্র থেকে সহায়তা দিতে হবে। উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে হবে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে।
ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যান্ড প্রাইভেট ইক্যুইটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ভিসিপিয়াব) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) যৌথভাবে এই আলোচনার আয়োজন করে।
ভিসিপিয়াব চেয়ারম্যান ও পেগাসাস টেক ভেঞ্চারসের জেনারেল পার্টনার শামীম আহসানের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবাইয়াত-উল ইসলাম এবং এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
এছাড়া এতে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন ভিসিপিয়াবের মহাসচিব শওকত হোসেন, মসলিন ক্যাপিটাল লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ভিসিপিয়াব পরিচালক ওয়ালি-উল-মারুফ মতিন, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, স্টার্টআপ বাংলাদেশের বিনিয়োগ উপদেষ্টা টিনা জাবিন, এফএনএস মিডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফেরদৌস আহমেদ, বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনীর হাসান, ভিসিপিয়াবের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়া ইউ আহমেদ, বিল্ড বাংলাদেশের উপদেষ্টা আরস্ত খান, পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন এম ইলিয়াস, স্টার্টআপ ঢাকার সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালি, বাংলাদেশ এঞ্জেলসের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মিনহাজ আনোয়ার প্রমুখ।