চীন তাদের বেইডৌ-৩ নেভিগেশন সিস্টেমের সর্বশেষ স্যাটেলাইটটি পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠিয়েছে ।
বেইডৌ-৩ ন্যাভিগেশন সিস্টেমের সর্বশেষ স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পাঠিয়েছে চীন বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। মঙ্গলবারের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের ফলে এখন আর মার্কিন ‘গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেমের’ (জিপিএস) ওপর নির্ভর করতে হবে না চীনকে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকালে সিচুয়ানের জিচাং কেন্দ্র থেকে লং মার্চ-৩বি রকেটে করে এটি পাঠানো হয় — খবর বিবিসি’র।
৩৫টি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বানানো হয়েছে হাজার কোটি মার্কিন ডলারের এই চীনা নেটওয়ার্কটি, যা বৈশ্বিক ন্যাভিগেশন কাভারেজ দেবে বলে চীনা কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
গত সপ্তাহেই স্যাটেলাইটটি কক্ষপথে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিলো চীনের। তবে, রকেট উৎক্ষেপণের আগে কারিগরি ত্রুটির কারণে এতে বিলম্ব করেছে দেশটি।
তৃতীয় প্রজন্মের ‘বেইডৌ ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম’ (বিডিএস) রাশিয়ার জিএলওএনএএসএস, ইউরোপের গ্যালিলিও সিস্টেম এবং মার্কিন জিপিএস ব্যবস্থার প্রতিদ্বন্দী হিসেবে দাঁড়াবে।
নিজস্ব জিপিএস নির্মাণে চীনের বেইডৌ মডেল। ছবি রয়টার্সনিজস্ব জিপিএস নির্মাণে চীনের বেইডৌ মডেল। ছবি রয়টার্সচীনের প্রথম সংস্করণের বেইডৌ, যার অর্থ ‘বিগ ডিপার’, সেটি ২০১২ সালেই অকেজো করে দিয়েছে দেশটি।
বিবিসি বলছে, প্রযুক্তি খাতে বেইজিং বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢালায় ২০ বছরের মধ্যেই চীনের মহাশূন্য কর্মসূচির অভাবনীয় অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে।
২০০৩ সালে বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে নভোচারী অভিযান পরিচালনা করেছে চীন। এরপর একটি পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন এবং চাঁদে দুইটি রোভার পাঠিয়েছে দেশটি।
চীনের এই পদক্ষেপগুলোকে একটি স্থায়ী মহাকাশ স্টেশন বানানোর প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছেন অনেকে। চাঁদে নভোচারী পাঠানো এবং মঙ্গল গ্রহে অর্বিটার ও রোভার পাঠানোরও প্রথম চেষ্টা করতে পারে দেশটি। ফলে মহাকাশ গবেষণায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে চীন।