পুরোপুরি ভিন্ন ধারার নতুন ‘স্মার্ট মাস্ক’ বানিয়েছে জাপানি স্টার্টআপ ডোনাট রোবোটিকস। সংক্রমণ এড়ানোর পাশাপাশি অনুবাদের কাজও করবে মাস্কটি।
সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এখন মাস্ক ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। মাস্ক নিয়েও চলছে নানা ধরনের গবেষণা। প্রতিনিয়তই আসছে নিত্য নতুন মাস্ক। মাস্কগুলো কীভাবে অন্যান্য দিকেও কার্যকর করা যায় তারই একটি উদাহরণ হতে পারে ডোনাট রোবোটিকস-এর স্মার্ট মাস্ক।
স্মার্টফোনে বার্তা পাঠাতে এবং জাপানি ভাষাকে অন্য আটটি ভাষায় অনুবাদ করতে পারে ইন্টারনেটে যুক্ত মাস্কটি– খবর রয়টার্সের।
সাধারণ মাস্কের ওপরই বসানো যায় প্লাস্টিকের ‘সি-মাস্ক’ এবং ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে যুক্ত হয় এটি। কণ্ঠকে লেখায় রূপান্তর, কল করা বা ব্যক্তির কণ্ঠকে আরও জোরালো করে মাস্কটি।
মাস্কটি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আটকাতে তখনই কার্যকর, যখন এটি অন্য একটি সাধারণ মাস্কের ওপর ব্যবহার করা হবে।
ডোনাট রোবোটিকস প্রধান তাইসুকে ওনো বলেন, “একটি রোবট বানাতে আমরা কয়েক বছর কঠোর পরিশ্রম করেছি এবং সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা এমন একটি পণ্য বানিয়েছি, কারণ করোনাভাইরাস আমাদের সমাজের কাঠামোই বদলে দিয়েছে।”
চলতি বছর সেপ্টেম্বর নাগাদ প্রথম পাঁচ হাজার সি-মাস্ক জাপানের ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করবে ডোনাট রোবোটিকস। চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপেও মাস্কটি বিক্রির পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। এই দেশগুলোতেও পণ্যটির অনেক চাহিদা রয়েছে।
৪০ মার্কিন ডলারে বড় পরিসরে মাস্কটি বাজারে আনার পরিকল্পনা করছে ডোনাট রোবোটিকস। ছয় মাস আগেও এই পণ্যের কোনো বাজার ছিলো না।
রোবটের জন্য আগে বানানো অনুবাদ সফটওয়্যার এবং মাস্কের নকশা ব্যবহার করে এক মাসের মধ্যেই ‘কানেক্টেড মাস্কটির’ একটি প্রোটোটাইপ বানিয়েছে ডোনাট রোবোটিকস।
জাপানি ক্রাউডফান্ডিং সাইট ফানদিনোর মাধ্যমে ডোনাট রোবোটিকসের শেয়ার বিক্রি করে মাস্ক উন্নয়নের জন্য দুই লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার তহবিল জোগাড় করেছেন ওনো।
ডোনাট রোবোটিকস প্রধান বলেন, “আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো ৭০ লাখ ইয়েন, যা তিন মিনিটের মধ্যেই জোগাড় হয়েছে এবং ৩৭ মিনিটে দুই কোটি ৮০ লাখ ইয়েন জোগাড়ের পর আমরা এটি বন্ধ করেছি।”