প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির জেরে ডিজিট্যাল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছে ভারতে। যার ফলে স্বল্প পরিসরের ভিডিও বানানোর জনপ্রিয় ‘টিকটক’ অ্যাপসহ ৫৯টি চীনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করা হয়েছে দেশটিতে।
এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চর্চা যদিও টিকটক নিয়েই। কেবল সাধারণ মানুষেরাই নন। এন্টারটেইনমেন্ট এই অ্যাপে নিত্য আসা-যাওয়া ছিল ভারতীয় অ্যাথলেটদেরও। যাদের মধ্যে জাতীয় ক্রিকেট দলের লেগ-স্পিনার যুবেন্দ্র চাহাল ভীষণভাবে সক্রিয় ছিলেন টিকটকে। লকডাউনেও চাহালের টিকটক ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছেছিল। চাহালের পাশাপাশি রোহিত শর্মা কিং প্রাক্তন তারকা অল-রাউন্ডার যুবরাজ সিংও ছিলেন একজন সক্রিয় টিকটক ব্যবহারকারী।
বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে লকডাউনে টিকটকে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় হয়েছেন অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। আইপিলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার সুবাদে ভারতের সঙ্গে দারুণ সখ্যতা বিদেশি ক্রিকেটারদের। ওয়ার্নারও তাদের মধ্যে একজন। সাম্প্রতিক সময়ে তাই ওয়ার্নারের টিকটক ভিডিওগুলোতে ভারতের প্রাদেশিক মিউজিকের আধিক্য চোখে পড়েছে। কখনও বাহুবলী সেজে, কখনও বালা ট্র্যাকে স্টেপ মিলিয়ে আবার কখনও ‘বড়লোকের বেটি লো’ গানে ঠোঁট মিলিয়ে ভারতের ক্রিকেট অনুরাগীদের কাছে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন অজি ওপেনার। অস্ট্রেলিয়ায় টিকটক চালু থাকায় ওয়ার্নার হয়তো সক্রিয় থাকবেন কিন্তু ভারতে অ্যাপটি ব্যান হওয়ায় তার টিকটক পারফরম্যান্স আর চাক্ষুষ করতে পারবেন না তার ভারতীয় অনুরাগীরা।
ভারতে জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যান নিয়ে ওয়ার্নারের মন্তব্য কী। সম্প্রতি ভারতে টিকটক ব্যান নিয়ে প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়া সহ-অধিনায়ক জানালেন, ‘ভারতে টিকটক ব্যান হওয়ার ব্যাপারে আমার কিছুই করার নেই। এটা সম্পূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্ত এবং দেশের মানুষের উচিৎ সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো।’
উল্লেখ্য, ভারতীয় ক্রিকেট অনুরাগীদের দৌলতেই সাম্প্রতিক সময়ে বাইশ গজের পাশাপাশি টিকটকেও খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছিলেন ওয়ার্নার। তাই ভারতে টিকটক ব্যান হওয়ার পরেই টুইটারে অজি ক্রিকেটারকে খোঁচা দিয়ে ভারত ক্রিকেট দলের ফিঙ্গার স্পিনার রবি অশ্বিন জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘এবার তুমি কী করবে ওয়ার্নার?’