সাধারণত ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর হলো মহাবিশ্বের এমন একটি জিনিস, যা নিজের ভেতর থেকে কোনো কিছুই বের হতে দেয় না। এমনকি ব্ল্যাকহোল থেকে আলোর মতো তড়িৎচুম্বকীয় বিকিরণও বের হতে পারে না। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ব্ল্যাকহোল থেকেও নাকি আলো বেরিয়ে আসার ঘটনা ঘটেছে!
নাসা জানিয়েছে, সান ডিয়েগোর কাছে পালোমার অবজারভেটরিতে বসানো ‘জুইকি ট্রানসিয়েন্ট ফেসিলিটি (জেডটিএফ)’ টেলিস্কোপেই ধরা পড়েছে এই বিরল দৃশ্য। গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল ‘ফিজিক্যাল রিভিউ লেটার্স’-এ। গত বছরের ২১ মে সেটি নাসার নজরে আসে।
নাসা বিজ্ঞানীদের মতে, মহাকর্ষীয় তরঙ্গের পাশাপাশি হয়তো এই আলোর ঝিলিকই ব্ল্যাকহোলের রহস্যজগতের বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করবে।
নাসা জানিয়েছে, এই আলোর ঝিলিক দেখা গিয়েছে একে অন্যের চারদিকে ঘুরতে ঘুরতে কাছে এসে পড়া দুটি ব্ল্যাকহোলের মধ্যে খুব জোরে সংঘর্ষের কারণে। ওই ধাক্কাধাক্কিতে তুলনায় ছোটখাটো দুটি ব্ল্যাকহোল (সূর্যের চেয়ে একটু বেশি ভারী) মিলেমিশে গিয়ে একটি বড় ব্ল্যাকহোল তৈরি করেছে। আলোর ঝিলিকটা বেরিয়ে আসতে দেখা গিয়েছে নতুন সৃষ্ট বড় ব্ল্যাকহোলটি থেকে।