বিশ্বজুড়ে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে ইলেকট্রনিক পণ্যের বর্জ্য তথা ই-বর্জ্যের স্তূপ। টিভি, মোবাইল, এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক বর্জ্যের পরিমাণ গত বছর রেকর্ড মাত্রায় বেড়েছে এক বার্ষিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।
জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ২০১৯ সালে বিশ্বব্যাপী ই-বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৩৬ লাখ মেট্রিকটন, যা পূর্বের বছরের চেয়ে প্রায় ২০ লাখ মেট্রিকটন বেশি।
গবেষকদের দাবি, গত বছর ফেলে দেওয়া সব ব্যাটারি এবং প্লাগের ওজনের পরিমাণ ছিল যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত প্রমোদ তরী ‘কুইন মেরি-২’ এর মতো ৩৫০টি জাহাজের সমান।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্লাস্টিক ও সিলিকনের এসব ই-বর্জ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ কপার, স্বর্ণ এবং অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ছিল, যা সার্কিট বোর্ডগুলোতে বিদ্যুৎ প্রবাহের জন্য ব্যবহার করা হয়। এসব বর্জ্যের প্রায় ছয় ভাগের একভাগ পুনরায় ব্যবহার যোগ্য; বাকিগুলো ফেলনা, যার আর্থিক মূল্য প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার।
ফেলে দেওয়া এসব ইলেকট্রনিক উপাদানের যেমন মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বয়ে আনতে পারে, তেমনি পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর। ই-বর্জ্যে পারদের মতো যেসব উপাদান রয়েছে তা মানুষের স্নায়ুতন্ত্র ধ্বংস করে দিতে পারে।
জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্টারন্যাশনাল সলিড ওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। তাতে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে ই-বর্জ্যের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ৭ কোটি ৪০ লাখ মেট্রিক টন।