দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়ন এবং ডিজিটাল প্রযুক্তি নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের প্রয়োজনে ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ ত্বরান্বিত করতে গ্রামীন ফোনসহ দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরসমূহকে তাগিদ দিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন ও নেটওয়ার্ক এখন মানুষের জীবনের শ্বাস প্রশ্বাসের মতো। জনগণকে পারস্পরিক সংযুক্ত রাখার দায়িত্বের পাশাপাশি করোনাকালে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট মানুষকে স্ট্রে এট হোম এবং ওয়ার্ক এট হোম এর সুযোগ সৃষ্টির দায়িত্বও পালন করছে।
মন্ত্রী আজ বুধবার ঢাকায় অনলাইনে গ্রামীন ফোন আয়োজিত জিপি একসিলারেটর প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ তাগিদ দেন। তরুণ উদ্যোক্তাদের উৎসাহ প্রদানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গ্রামীন ফোনের সিইও ইয়াসির আজমান সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রী বলেন, করোনা পরবর্তী বিজনেস প্রচলিত ধারায় থাকবে না। প্রচলিত ব্যবসা বদলে ডিজিটাল ব্যবসার প্রসার ঘটবে। আমাদের ছেলেরা চমৎকার মেধাবি। তাদের হাত ধরেই দেশের মেধা শিল্পের বিকাশ ঘটবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সেদিন বেশী দূরে নয়।
২০২০ সালে ডিজিটাল প্রযুক্তিখাতে বিনিয়োগের বিরাট সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর আগে এই খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ছিল না। ব্যাংক গুলোও এখন ডিজিটাল খাতের ব্যবসায়ীদের জন্য বিনিয়োগ করতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাংলাদেশকে বদলে দিয়েছে। গত ১১ বছরে ডিজিটাল কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের ফলে মানুষ আজ চরম দুর্যোগেও জীবন যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারছে। অফিস – আদালত , ব্যবসা -বাণিজ্য সচল রাখা সম্ভব হচ্ছে।
দেশে তিন দশক সময়ব্যাপী কম্পিউটার বিপ্লবের অগ্রদূত মোস্তাফা জব্বার বলেন, করোনাকালে চারকোটি ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষার অচলাবস্থার অবসানও আমরা সফলভাবে করতে পারতাম যদি তাদেরকে ডিভাইস এবং শিক্ষার ডিজিটাল কনটেন্ট দিতে পারতাম।
মন্ত্রী পরিসংখ্যান দিয়ে বলেন, দেশে ১৬ কোটি মাবাইল ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। এই বিপুল জনগোষ্ঠীর ইন্টারনেট চাহিদা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত মার্চ দেশে ১০০০জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবüত হতো তা বর্তমানে ১৭শত জিবিপিএসে উন্নীত হয়েছে।