দেশের মোবাইল অ্যাপ ভিত্তিক রাইড সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান পাঠাও এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং একজন তরুণ ও মেধাবী উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ এর অকাল মৃত্যুতে, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।
গত ১৪ জুলাই বিকেলে নিউইয়র্ক সিটির ম্যানহাটানে নিজ অ্যাপার্টমেন্টে জনাব ফাহিম সালেহ’র নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়। এ ঘটনায় আমরা রীতিমতো স্তম্ভিত। একইসাথে আমরা তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সকল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে এ নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।
উল্লেখ্য, ফাহিম সালেহ ইনফরমেশন সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের বেন্টলি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১৪ সালে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকায় ফিরে ”পাঠাও অ্যাপ”চালু করে নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। নিহত ফাহিম সালেহ বাংলাদেশের রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম পাঠাও ছাড়াও নাইজেরিয়াতে ‘গোকান্ডা’ নামক আরেকটি রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেন। পেশায় ওয়েবসাইট ডেভেলপার ফাহিম অ্যাডভেঞ্জার ক্যাপিটাল গ্লোবাল নামক একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল প্রতিষ্ঠানেরও উদ্যোক্তা ছিলেন।
ফাহিম সালেহের অকাল মৃত্যুতে দেশের আইটি ইন্ডাস্ট্রি কেবল একজন সফল উদ্যোক্তাকে হারায়নি বরং দেশের তরুণ স্টার্টআপ উদ্যোক্তাগণ হারালো তাদের একজন অন্যতম অনুপ্রেরণাদাতা ও পথপ্রদর্শককে। তরুণদের মধ্যে স্টার্টআপস কমিউনিটি গড়ে তোলার যে উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে তাতে ফাহিম সালেহর এ এমন মৃত্যু নি:সন্দেহে একটি বড় রকমের ধাক্কা হিসেবে প্রতিভাত হবে।
ফাহিম সালেহর এই হত্যাকান্ডের পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় আনার জন্যও বেসিস-এর পক্ষ থেকে আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।