দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে ক্রমেই ভারতে বাড়ছে চীনাবিরোধী মনোভাব। আর এর প্রভাব পড়ছে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর। এরই ধারাবাহিকতায় এবার ভারতীয়দের মাঝে চীনাবিরোধী মনোভাব দূর করতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে চীনা স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
যার ফলশ্রুতিতে ভিন্নভাবে বিজ্ঞাপনের জন্য বিনিয়োগ করছে শাওমি, ভিভো, অপো এবং ওয়ান প্লাসসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গালওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের ভারতীয় সৈন্যদের ওপর আক্রমণের ঘটনার পরপরেই নড়েচড়ে বসেছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা।
এ কারণে আসছে উৎসবের মৌসুমে নতুন পণ্য উন্মোচন কৌশল ও বিনিয়োগের পরিকল্পনা প্রায় এক মাস ধরে চলবে বলে আশা করছেন তারা। একই সঙ্গে তারা জানিয়েছেন, পণ্য বাজারে ছাড়ার জন্য তারা প্রক্রিয়া এবং কৌশলগতভাবে আগাচ্ছেন।
এ দিকে, শাওমি, ভিভো, রিয়েলমি এবং ওয়ান প্লাস ‘ভারতের তৈরি’ স্লোগানে বিজ্ঞাপন এবং ক্যাম্পেইনে ভিত্তি করে ভারতে উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টায় রয়েছে। নতুন পণ্য বাজারে নিয়ে আসছে ভিন্ন আঙ্গিকে।
বিশ্লেষকদের মতে, চাইনিজ কোম্পানিগুলো এপ্রিল থেকে জুন সময়ের মধ্যে শেয়ার মার্কেটে তাদের প্রতিযোগী স্যামসাং থেকে পিছিয়ে গেছে। যা তারা পূরণ করে উঠতে চাচ্ছে।
পুজিবাজার এবং কোম্পনিগুলোর হিসাব মতে, জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত চাইনিজ কোম্পানিগুলো একসাথে ভারতের ৮০ শতাংশ মোবাইল মার্কেট, ৪০ শতাংশ টেলিভিশন মার্কেট এবং ৬ থেকে ৭ শতাংশ গৃহস্থলির অন্যান্য যন্ত্রাংশ মার্কেটের শেয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনা ইলেকট্রনিক্স এবং স্মার্টফোন কোম্পানিগুলো শুধু বিজ্ঞাপন, প্রচারণা এবং ক্যাম্পেইন-মূলক কর্মকাণ্ডে প্রতিবছর গড়ে ২ হাজার ৫০০ কোটি রুপি ব্যয় করে।
এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়া রিসার্চ ডিরেক্টর (আইডিসি) নাভকেন্দ্র সিং বলেন, পার্টসের সরবরাহ স্বাভাবিক এবং পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির উন্নতির জন্য এতদিন অপেক্ষা করছিল চাইনিজ ব্র্যান্ডগুলো। পরবর্তী ৫ মাস তাদের জন্য কঠিন সময়। তাই তারা বিজ্ঞাপনে খরচ বাড়াচ্ছে। এটা তাদের জন্য পরীক্ষা।