যুক্তরাষ্ট্রের চাপের মুখে ফাইভজি ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক নির্মাণ প্রকল্প থেকে হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে যুক্তরাজ্য। এ পরিস্থিতিতে দ্রুতগতির ফাইভজি নেটওয়ার্ক অবকাঠামো নির্মাণে জাপানের সহায়তা চেয়েছে ব্রিটিশ সরকার। গত রোববার নিক্কেই বিজনেস ডেইলির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাণিজ্যযুদ্ধের প্রভাবে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হুয়াওয়ে। প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তিপণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, হুয়াওয়ে তাদের নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম দিয়ে মার্কিনিদের ওপর নজরদারি করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চীন সরকারের হাতে পৌঁছে দিচ্ছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র দেশগুলোকে হুয়াওয়ের নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম বর্জনের প্ররোচিত করে আসছে। যদিও নিজেদের দাবির পক্ষে এখনো কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। এ পরিস্থিতিতে হুয়াওয়ের সম্ভাব্য বিকল্প ফাইভজি নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম সরবরাহকারী হিসেবে এনইসি করপোরেশন এবং ফুজিত্সু লিমিটেডের নাম প্রস্তাব করেছে যুক্তরাজ্য। এ লক্ষ্যে জাপানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবার টোকিওতে একটি বৈঠকেও বসেছিলেন ব্রিটিশ কর্মকর্তারা।
২০২৭ সালের মধ্যে নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা থেকে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। ঠিক যে সময়টিতে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখনই নিরাপত্তা প্রশ্নে হুয়াওয়ে বিষয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জনসনকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কোনো একটি দেশকে বেছে নিতে বাধ্য করল। এর ওপরই নির্ভর করছে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগের কৌশলগত সিদ্ধান্ত।
যুক্তরাজ্যের ফাইভজি নেটওয়ার্কে জাপানের সংশ্লিষ্টতা বিষয়ে তাত্ক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি টোকিওর ব্রিটিশ দূতাবাস ও ফুজিত্সু। মন্তব্য করেনি হুয়াওয়ে এবং চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও। জাপানের সংশ্লিষ্ট দপ্তর কিংবা এনইসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।
ব্রিটিশ ডিজিটাল মন্ত্রী অলিভার ডাউডেন গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন, হুয়াওয়ের দৃঢ় বিকল্প আনতে বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাজ্য। ফিনল্যান্ড, সুইডেন, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের বেশকিছু প্রতিষ্ঠানের নামও তখন জানিয়েছিলেন তিনি।