তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলা করছি। করোনা ভাইরাস প্রথম শনাক্ত পর প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিস্থিতি মোকাবেলা জন্য একের পর এ সময়োপযোগী ও গ্রহণ করে চলেছেন।
বাস্তবমুখীপদক্ষে গ্রহণের ফলে বর্তমানে গ্রাম পর্যন্ত ইন্টাটারনেট কানেক্টিভিটি পৌঁছে গেছে। করোনা কালীন সময়ে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশর প্রযুক্তিগত অবকাঠামো তৈরীর ফলেই দেশের মানুষ বিগত পাঁচ মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা সংসদ টেলিভিশন ও অনলাইন ডিজিটাল প্লাটফর্মে চালু রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মিলনায়তনে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন দেশের সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীকে প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থানের উপযোগী করে তুলতে দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাধ্যমিক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ‘
প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনের সুযোগ করে দিতে সরকার সারাদেশে ৮০০০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে এবং আরো ৫০০০ ল্যাব স্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন ডিজিটাল প্লাটফর্মে অনলাইনে ক্লাস করার সুযোগ তৈরি করা হলেও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এখনো সে সুযোগ গ্রহণ করতে পারেনি। কারণ তাদের অবকাঠামোগত প্রস্তুতি ছিল না। সে বিবেচনায় সারাদেশে ৩০০ টি সংসদীয় আসনে “স্কুল অব ফিউচার সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম” মডেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে সারা দেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল ভোগ করতে পারবে বলে জানান।
পলক বলেন প্রযুক্তি নির্ভর কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে লক্ষ্যে লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পের আওতায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীকে অনলাইনে ট্রেনিং প্রদান করা হচ্ছে। ৬৪টি জেলায় শেখ কামাল ইনকিউবেশন সেন্টার, সারাদেশে ২৮ টি হাইটেক পার্ক তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবেলায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে “সেন্টার অন ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি” প্রতিষ্ঠা করা হবে । এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা গবেষণার করে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে শুধু বাংলাদেশের সমস্যাই সমাধান করবেনা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা ও সক্ষমতা অর্জন করতে সক্ষম হবে।
তিনি সকলের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চত করতে ইন্টারনেট প্রোভাইডারদের প্রতি আহ্বান জানান।
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।