হুয়াওয়ে নিয়ে অনেক আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সাইবার ঝুঁকির কথা বলে আসছে। আর গত সপ্তাহেই মার্কিন এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলে বসেছেন কেবল হুয়াওয়ে নয়, যেসব প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের প্রযুক্তি ব্যবহার করে, তারাও ঝুঁকিপূর্ণ। এর পরপরই এলজির তরফ থেকে সাফাই এলো – ‘হুয়াওয়ে নিরাপদ’।
হুয়াওয়ের ৫জি যন্ত্রাংশ ব্যবহারকারী একমাত্র দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান এলজি ইউপ্লাস। এলজি ইলেকট্রনিকস মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি বলছে হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই।
নিরাপত্তার প্রশ্নেই চলতি সপ্তাহের শুরুতে মার্কিন সাইবার এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগ এবং তথ্য নীতিমালা বিভাগের ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি রবার্ট স্ট্রেইয়ার বলেছেন, এলজিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যারা হুয়াওয়ের যন্ত্রাংশ ব্যবহার করছে তাদের অন্য কোনো ‘বিশ্বাসযোগ্য প্রতিষ্ঠানের’ যন্ত্রাংশের দিকে যাওয়া উচিত।
মার্কিন কর্মকর্তার মন্তব্যের জবাবে এলজি ইউপ্লাস বলছে, চীনের প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটি তাদের যন্ত্রাংশের নিরাপত্তা প্রমাণ করেছে। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে হুয়াওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করবে না প্রতিষ্ঠানটি, মন্তব্য এসেছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
প্রতিষ্ঠান দু’টির বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব বিবেচনা করে দক্ষিণ কোরিয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হুয়াওয়ের পণ্য ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিলে অনেক কিছু হারাতে পারে এলজি ইউপ্লাস।
কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনোমিকস অ্যান্ড ট্রেড-এর গবেষক কিম জং-কি বলেন, “৪জি এলটিই সেবার জন্য হুয়াওয়ের পণ্য ব্যবহার করেছে এলজি ইউপ্লাস, তাই ৫জি’র জন্য অন্য প্রতিষ্ঠানের দিকে গেলে যন্ত্রাংশ সমর্থনজনিত সমস্যায় পড়তে পারে তারা।”
বর্তমানে শুধু হুয়াওয়ে নয় স্যামসাং, নোকিয়া এবং এরিকসনসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৫জি যন্ত্রাংশ ব্যবহার করছে এলজি ইউপ্লাস।