তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয় একজন ভিশনারি ও মেধাবী নেতা যার জীবন দর্শনের মূলে রয়েছে সততা। জীবন ও কর্মের সকল ক্ষেত্রেই সততার অনুশীলন করছেন বলেই তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে এতটা সফল। তিনি প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের পথিকৃৎ।
প্রতিমন্ত্রী আজ জুম অনলাইনে মাননীয় ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর কর্ম জীবন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে সজীব ওয়াজেদ এর ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে এ আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে অনলাইনে যুক্ত হয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. সজ্জাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচিালক পার্তপ্রতিম দেব, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মামুন আল রশিদ, বেসিসের সভাপতি আলমাস কবির, বাক্কোর সভাপতি ওয়াহিদুর রহমান শরীফ।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন এলআইসিটি প্রকল্পের পলিসি এডভাইজার সামি আহমেদ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সামগ্রিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় সজীব ওয়াজেদের নির্দেশে। তিনি সব সময়ই জনগণের অর্থে কোন প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে জনগণের উপকার এবং রিটার্ন কী আসবে তা বিবেচনায় নিতে পরামর্শ দেন।
পলক বলেন, ২০০৮ সালের ১২ ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন তার প্রণেতাদের একজন সজীব ওয়াজেদ। কিন্তু তিনি শুধু রূপকল্পে প্রণয়নের সাথে যুক্ত থেকে বসে থাকেননি তার বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করছেন। ২০০৯ সালে যখন আইসিটি পলিসি প্রণয়ন করা হয় তাঁরই উদ্যোগে, যেখানে ৩০৬টি করণীয়সহ তা বাস্তবায়নে একশন প্লান ও সময় নির্ধারণ করে দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল মানুষ কীভাবে পাচ্ছে তা আমরা এই করোনাকালে গভীরভাবে উপলব্দি করছি। স্বাস্থ্য সেবা থেকে কুরবানীর গরু কেনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্লাটফর্মের ব্যবহার হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে জিয়াউল আলম বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের বাস্তবায়নের পর এখনকার আমাদের স্বপ্নযাত্রা উন্নত দেশের। এ স্বপ্ন যাত্রাকে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে নেওয়ায় ভুমিকা রাখছেন জনাব সজীব ওয়াজেদ।
পরে সজীব ওয়াজেদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।