লকডাউনে সারাবিশ্বেই বেড়েছে অনলাইন ক্লাস এবং ভিডিও কলের সংখ্যা। তবে বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযোগ উঠেছে এইসব অনলাইন ক্লাসে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে কিশোর কিশোরীরা।
ইনোসেন্ট লিভস ফাউন্ডেশন এর প্রধান ক্রিস হ্যাডনাগি বলেছেন, প্রথমে নগ্ন ছবি নিয়ে পরে প্রতারণা করা হয়। স্বেচ্ছায় দেওয়া বিবস্ত্র ছবি অপরের প্রতারণার হাতিয়ার হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরো বলেন, নির্যাতনকারী শুরুতে বলবে, আমাদের তো সম্পর্ক রয়েছে, আমি এটা দেখেই মুছে ফেলবো। কিন্তু পরে আর তারা সেটা করে না। যে কারণে ডার্কওয়েবে শিশু পর্ন ছবির ছড়াছড়ি।
তিনি আরো বলেন, গত কয়েকমাসে ডার্কওয়েবে এ ধরনের ছবি শেয়ারের হার দ্বিগুণ হয়েছে।
বর্তমানে ১৬ বছর বয়সী চোলে মাত্র ১২ বছর বয়সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। তার বিবস্ত্র ছবি তুলে রেখেছিল লম্পট আত্মীয়। সেই ছবি দেখিয়ে কিশোরীকে বারবার বলা হয়, এটাই শেষ, এরপর তোমার মুক্তি। কিন্তু মুক্তি আর মেলে না।
২৮ বছর বয়সী ম্যাথিউ বুচার-এর কম্পিউটারে কয়েক হাজার শিশুর নগ্ন ছবি পাওয়া গেছে। ম্যাথিউ বুচারের মা ছেলের ব্যাপারে কিছুই জানতে পারেনি। কারণ, ছেলে তার কুকর্মের তেমন প্রমাণ রাখতো না। এমন আরো উদাহরণ ঘুরছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এই বিপদ থেকে বাঁচতে সাবধান হতে হবে এখুনি।