আবারও এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এবারের নির্বাহী আদেশে আগামী ৯০ দিনের মধ্যে টিকটক মালিককে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বিক্রি করে দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
ট্রাম্প স্বাক্ষরিত নির্বাহী আদেশে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কথা উল্লেখ আছে। ‘কমিটি অন ফরেন ইনভেস্টমেন্ট ইন দি ইউনাইটেড স্টেটস’-এর প্রতিবেদনের পরপরই রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মার্কিন কর্তাব্যক্তিরা। প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট প্রতিবেদনে বলেছে, বাইটড্যান্সের ২০১৭ সালে মিউজিক্যাল ডটএলওয়াই ক্রয় বাতিল করছে আদেশটি।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রী স্টিভেন মেনুশেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, “নির্বাহী আদেশটি বাইটড্যান্সকে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের ব্যবসা চলমান রাখতে প্রয়োজনীয় সব সম্পদ ও সম্পত্তির স্বার্থ ও অধিকার বিক্রি করে দিতে বলছে। এমনকি টিকটক বা মিউজিক্যাল ডটএলওয়াই কর্তৃক যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের সংগৃহীত ডেটাও।”
“সিএফআইইউএস এ বিষয়ে বিস্তারিত পর্যালোচনা করেছে এবং মার্কিন ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ডেটা বেহাত হওয়া থেকে বাঁচাতে সর্বসম্মতিক্রমে প্রেসিডেন্টকে এ পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছে।” – -বিবৃতিতে বলেছেন মেনুশেন।
মাইক্রোসফট অ্যাপটি কেনার আলোচনায় রয়েছে।
এর আগের নির্বাহী আদেশে টিকটক ও উইচ্যাটের সঙ্গে লেনদেন নিষিদ্ধ করেন ট্রাম্প। সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠান দুটিকে নিজ নিজ মার্কিন ব্যবসা বিক্রি করে দেওয়ার জন্য।
সাম্প্রতিক নির্বাহী আদেশে আরও পরিষ্কারভাবে বাইটড্যান্সকে বলা হয়েছে মার্কিন ক্রেতার কাছে ব্যবসা বিক্রি করতে। গত বছরও একই ধরনের কৌশল ব্যবহার করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন। সে সময় সিএফআইইউএস-কে ব্যবহার করে ডেটিং অ্যাপ গ্রাইন্ডার-এর চীনা মালিক পক্ষকে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের কাছে অ্যাপটি বিক্রি করতে বাধ্য করেছিল তারা।
টিকটকের কাছে এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলে প্রতিষ্ঠানটির এক মুখপাত্র আগের কথাই আবার বলেছেন, “আমরা অ্যাপটির মাধ্যমে পরিবারদের আনন্দ দিতে চাই এবং যারা এই প্ল্যাটফর্মে নিজেদের কাজ প্রকাশ করেন এমন সবার অর্থবহ ক্যারিয়ার গড়তে সহায়তা করতে এবং সবার জীবনে আগামি বছরগুলোতেও আনন্দ বয়ে আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
মাইক্রোসফট এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।