নতুন আইফোনে ৫জি হার্ডওয়্যারের অন্তর্ভুক্তির কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। ফলে অন্যান্য অংশে অপেক্ষাকৃত সস্তা যন্ত্রাংশ ব্যবহার করবে অ্যাপল, এমনটাই দাবি করেছেন খ্যাতনামা এক অ্যাপল বিশ্লেষক।
অ্যাপল বিশ্লেষক মিং-চি কুয়ো বলছেন, সম্ভবত নতুন আইফোনে অ্যাপল সবচেয়ে বেশি খরচ কমাবে ব্যাটারি প্রযুক্তির মাধ্যমে। ব্যাটারি বোর্ডে স্তর কমানো এবং সেলগুলো আগের চেয়ে ছোট জায়গায় বসানো হবে বলে কুয়োর বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তি সাইট ভার্জ।
এই প্রযুক্তির কারণে আইফোনের ১১-এর চেয়ে নতুন ব্যাটারি বোর্ড ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ সস্তা হবে বলে ধারণা করছেন কুয়ো। আর নকশায় বাড়তি পরিবর্তনের কারণে সামনের বছরের আইফোনের ব্যাটারির দামও কমবে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।
শুধু ব্যাটারির দাম কমালেই ৫জি হার্ডওয়্যারের জন্য বাড়তি খরচ পূরণ হবে না। কুয়োর ধারণা, নতুন আইফোনে মিলিমিটার তরঙ্গ প্রযুক্তির কারণে ১২৫ থেকে ১৩৫ ডলার বাড়তি খরচ হবে এবং সাব-৬গিগাহার্টজ প্রযুক্তির জন্য আরও ৭৫ থেকে ৮৫ ডলার খরচ বাড়বে।
নতুন আইফোনের বাক্সে চার্জার বা ইয়ারফোন নাও রাখতে পারে অ্যাপল, খরচ কমাতে এমন পথও বেছে নিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি।
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবারে রেওয়াজ ভেঙে সেপ্টেম্বরের বদলে অক্টোবরে নতুন আইফোন বাজারে আনতে পারে অ্যাপল।