মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে স্মার্টফোনের বাজারে বেশ প্রভাব পড়েছে। বিশ্বব্যাপী বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক, অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুন মাসে স্মার্টফোন বিক্রি ব্যাপক কমে গিয়েছিল। গত বছরের তুলনায় এ বছর স্মার্টফোনের বাজার ২০ শতাংশে কমে এসেছে।
আন্তর্জাতিক বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান গার্টনারের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। গার্টনার বলেছে, মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে স্মার্টফোনের বাজারে বেশ নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে যার কারণে বাজারে স্মার্টফোন আসার সংখ্যা কমে সাড়ে ২৯ কোটিতে এসেছে।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, স্মার্টফোন বিক্রিতে চীন ছাড়া অন্য সব বাজারে বাধা সৃষ্টি হয়েছে এবং স্মার্টফোনের চাহিদাও কমতে দেখা গেছে। যার ফলে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকজুড়েই স্মার্টফোন বিক্রিতে সমস্যা ছিল।
গার্টনারের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি স্মার্টফোন কোম্পানির তালিকা দেওয়া হল:
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান স্যামসাং এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্মার্টফোন বাজারের ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ দখল করেছে। এ বছরে প্রতিষ্ঠানটি বাজারে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন ছেড়েছে। গত প্রান্তিকে তাদের প্রবৃদ্ধি কমেছে ২৭ দশমিক ১ শতাংশ। তারপরও স্মার্টফোনের বাজারে শীর্ষ স্থানটি দখলে রেখেছে স্যামসাং।
লাফিয়ে লাফিয়ে স্মার্টফোনের বাজারে উঠে যাচ্ছিল এই চীনা প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যযুদ্ধের মধ্যে পড়ে বিপদে রয়েছে। এ প্রতিষ্ঠানটি স্মার্টফোন বাজারের ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ দখল করে আছে। হুয়াওয়ের প্রবৃদ্ধি কমেছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।
অ্যাপল কোম্পানি স্মার্টফোনের বাজারে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ৩ কোটি ৮০ লাখ ইউনিট আইফোন বাজারে এনেছে অ্যাপল। স্মার্টফোন বাজারে তাদের দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি কমেছে।
প্রতিদিনই স্মার্টফোনের বাজারে নতুন নতুন ধামাকা নিয়ে আসছে চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড শাওমি। স্মার্টফোনের বাজারে চতুর্থ স্থানটি দখল করে আছে শাওমি। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ২ কোটি ৬০ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বাজারে এনেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমানে স্মার্টফোন বাজারের ৮ দশমিক ৯ শতাংশ শাওমির দখলে। স্মার্টফোনের বাজারে প্রতিষ্ঠানটির প্রবৃদ্ধি কমেছে ২১ দশমিক ৫ শতাংশে।
স্মার্টফোনের বাজারের পঞ্চম স্থানটি দখল করে আছে অপো। এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এ বছরে অপো ২৩ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন বাজারে এনেছে। বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে ৮ শতাংশ অপোর দখলে।