সরকার ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল (আইটিসি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) ও ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্র্যান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) সেবার ক্ষেত্রে ৫ শতাংশের অতিরিক্ত ভ্যাট তুলে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
ভ্যাটের হার কমানোর প্রজ্ঞাপনটি গত মঙ্গলবারের তারিখ দিয়ে জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ফলে এখন আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন এবং গ্রাহক পর্যায়ে ভ্যাটের হার দাঁড়াল ৫ শতাংশ।
সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মোহাম্মদ আমিনুল হাকিম বলেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভ্যাট জটিলতার অবসান হবে।
সব মিলিয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ খরচ দিতে হচ্ছিল, এখন তা ১৫ শতাংশে আসবে। এ সিদ্ধান্তের ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট খরচ না কমলেও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো যে ক্ষতিতে ছিল তা থেকে উঠে আসবে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে, জুন শেষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ দাঁড়িয়েছে ৮৬ লাখ, যা ফেব্রুয়ারি শেষে ছিল ৫৭ লাখ ৪৩ হাজার। আইএসপিএবির মতে, একটি সংযোগের বিপরীতে চার থেকে পাঁচজন ব্যবহারকারী রয়েছেন। ফলে মোট গ্রাহক সাড়ে তিন কোটির বেশি।
২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ও মূল্য সংযোজনের অন্যান্য পর্যায়ে (আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন) খাতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নির্ধারিত হয়।
এই জটিলতা নিরসনে তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের নেতৃত্বে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান এবং বিটিআরসি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভার আলোচনায় ইন্টারনেটের প্রতিটি স্তরে (আইটিসি, আইআইজি, এনটিটিএন) ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী প্রজ্ঞাপন হয়।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে আবার গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ও অন্যান্য স্তরে (আইটিসি, আইআইজি ও এনটিটিএন) ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ হয়েছিল।