সল উৎপাদনে দিন দিন বাড়ছে ইন্টারনেট নির্ভরতা। সেচযন্ত্র মেরামত কিংবা মাটির উর্বরতা পরীক্ষায় ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন কৃষকরা। জমিতে বসেই পাচ্ছেন ফসলের রোগবালাই দমন সম্পর্কিত যাবতীয় পরামর্শ। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, ইন্টারনেট নির্ভর কৃষি ব্যবস্থাপনায় কমছে অনিয়ম ও ভোগান্তি। সাশ্রয় হচ্ছে উৎপাদন খরচ, বাড়ছে ফলন।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে প্রায় ১৬ হাজার সেচ যন্ত্রের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ দিচ্ছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সেচ মৌসুমে নষ্ট পাম্প দ্রুত মেরামত না হলে কৃষকের শ্রমঘন্টার পাশাপাশি অর্থের অপচয় হয়।
এ অবস্থায় সেচসেবা ডট কম নামে ইন্টারনেট ভিত্তিক মোবাইল অ্যাপস দিয়ে সেবা দিচ্ছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। পাম্প নষ্ট হলে এই অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদন করেন কৃষক। তাৎক্ষণিক মেকানিক ও মেরামতের সময় ঠিক করে দেন অফিস প্রধান। যা ক্ষুদে বার্তায় জানানো হয় কৃষককে। সেচ যন্ত্র মেরামতে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশের জন্য অনলাইনে চাহিদাপত্র দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত মেকানিক। প্রিন্টেড চাহিদাপত্রে স্বাক্ষর করে সরবরাহ করা মালামাল গ্রহণ করেন কৃষক বা মেকানিক।
বর্তমানে চার হাজার কৃষক এই অ্যাপসের মাধ্যমে সেবা নিচ্ছে বলে জানালেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা একে এম মশিউর বলেন, ১৬ জেলায় ১০৫ টি উপজেলায় আমাদের কাজ চলছে। এক বছরের মধ্যে আমরা সব কাজ করতে পারবো।
শুধু তাই নয়; ই-ভিলেজ অ্যাপের মাধ্যমে কৃষকরা মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা করায় কমেছে অপ্রয়োজনীয় সেচ ও সার প্রয়োগ।
এছাড়াও ‘কৃষকের জানালা’, ‘কৃষকের ডিজিটাল জানালা’ এবং ‘বালাই নির্দেশিকা’ এই তিনটি অ্যাপের মাধ্যমে ১২০টি ফসল চাষে রোগবালাইসহ নানা সমস্যার সমাধান দিচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।