বর্তমানে যে হারে সেলুলার টাকার দাম বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে তাতে ব্রডব্যান্ড লাইন অথবা ওয়াইফাই লাইন নেওয়া ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই।
আর যদি কোথাও ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা থাকত তাহলে তো আর কোন কথাই নেই৷ কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই ওয়াইফাই গুলোর সিকিউরিটি খুবই শক্তিশালী৷ এখন আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে ইশ! যদি আমি কোন ভাবে ওয়াইফাই হ্যাক করতে পারতাম৷ এই চিন্তা ধারাকে মাথায় রেখে আপনি গুগল এবং ইউটিউবে প্রচুর টিউটোরিয়াল দেখলেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হল না।
আর সেই কারণে, এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আদৌ কেউ ওয়াইফাই হ্যাকিং সম্ভব কিনা?
শুরুতেই আপনাকে জানিয়ে রাখি আপনি যদি ওয়াইফাই হ্যাকিং এর উদ্দেশ্যে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে হতাশ করা ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই৷ কারণ আমরা এই আর্টিকেলে আপনাকে ওয়াইফাই হ্যাকিং সম্পর্কিত কোন টিউটোরিয়াল শেখাব না । কিন্তু ওয়াইফাই হ্যাক করা যায় কিনা এবং ওয়াইফাই হ্যাকিং এর প্রাথমিক ধারণা আপনাদের দেওয়া হবে৷
শুরুতেই আপনাদেরকে সাবধান করতে চাই গুগল প্লে স্টোরে ওয়াইফাই হ্যাকিং সম্পর্কিত যে সকল অ্যাপ্লিকেশনগুলো পাওয়া যায় তার ৯৫% ই ফেইক৷ কেবলমাত্র টাকা ইনকাম করার জন্য অ্যাপ্লিকেশন গুগল প্লে স্টোরে পাবলিশ করা হয়৷
এ ধরনের অ্যাপ্লিকেশনগুলোতে অনেক সময় ম্যালওয়ার অথবা ভাইরাস থাকতে পারে । সেগুলো আপনার ডিভাইসের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর৷ সুতরাং এ ধরনের সফটওয়্যার থেকে বিরত থাকাই ভালো৷ সফটওয়্যার গুলি ভালো রেটিং সম্পন্ন হলেও ইন্সটল করা উচিত নয়।
ওয়াইফাই হ্যাকিং আদৌ হয় কিনা?
সেটা জানার জন্য সর্বপ্রথম আপনাদেরকে জানতে হবে ওয়াইফাই এর প্রটেকশন সম্পর্কে । শুরুর দিকে ওয়াইফাই এর প্রটেকশন ব্যবস্থা দুর্বল ছিল। যে সুরক্ষা ব্যাবস্থা ব্যাবহার করা হত সেটি হচ্ছে WEP
যেটি খুবই দুর্বল ওয়াইফাই প্রোটেকশন৷ এবং তারপর আসলো ডাব্লিউপিএ এবং অতঃপর সে ডাব্লিউ পি এ ২। ক্রমশ সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী হতে থাকলো৷ এখন যদি আপনি এই ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে ওয়াইফাই হ্যাকিং করতে চান তাহলে আপনাকে সেই লেভেলের হ্যাকার হতে হবে৷
তাহলে যে আমার বন্ধু পাঁচ মিনিটের মধ্যে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করলো সেটা কি করে?
যার ওয়াইফাই আপনার বন্ধু হ্যাক করেছে তার রাউটারে বিভিন্ন ধরনের “সাপ্লিমেন্টারি কী” রয়েছে। এবং এ ধরনের কী ব্যবহার করে ওয়াইফাই এর মালিক ইচ্ছে করলে একজনকে পাসওয়ার্ড না জানিয়ে তার নেটওয়ার্ক এর সাথে কানেক্ট করতে পারে৷ এর মধ্যে অন্যতম ডাব্লিউপিএস। আপনি আপনার রাউটারের দিকে খেয়াল করলে ডাব্লিউপিএস নামের একটি বাটন দেখতে পাবেন । কেউ যদি সে বাটনটিতে প্রেস করে তাহলে ম্যানুয়ালি সে চাইলে যেকোনো একজনকে পাসওয়ার্ড না জানিয়ে ইন্টারনেট চালাবার সুযোগ করে দিতে পারে৷
এছাড়াও brute-force নামের এক ধরনের অ্যাটাক রয়েছে। যেটির মাধ্যমে আপনি চাইলেই ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড কম্বিনেশন রেনডমলি একটির ওপর আরেকটি তৈরি করতে পারবেন৷
কিন্তু আমাদের সাধারন ডিভাইস অর্থাৎ কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোনের যে স্পিড রয়েছে তাতে বছরের-পর-বছর চেষ্টা করলেও আপনি পাসওয়ার্ড কম্বিনেশন টি বের করতে পারবেন না৷ অদূর ভবিষ্যতে যদি শক্তিশালী কম্পিউটারের উদ্ভব হয় তাহলে একবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
পরিশেষে আমি এটুকুই বলতে চাই মোবাইলে যে সকল সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে আপনি ওয়াইফাই হ্যাক করার চেষ্টা করেন সেগুলো দিয়ে ওয়াইফাই হ্যাক করা যায় না বললে চলে ।
আমি যদি পসিবিলিটি কথা বলি তাহলে ৫ শতাংশ পসিবিলিটি রয়েছে, ওয়াইফাই হ্যাক হওয়ার৷ এবং যে সকল সফটওয়্যার গুলি ওয়াইফাই হ্যাক করতে সক্ষম হয় সেগুলি bruit fource এর মাধ্যমে হ্যাক করে৷ দিন শেষে আপনার সময়ের মূল্য দিতে শিখুন৷
ওয়াইফাই হ্যাকিং এর চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। হ্যাকিং এর মতো অনিষ্ট করা থেকে বিরত থাকুন৷