বর্তমান সময়ে সবাই কমবেশি কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে।কারোর কম্পিউটারের গতি বেশি তো কারোরটার কম।আবার কেউ উইন্ডোজ তো কেউ ম্যাক।আর এই জন্যই লিনাক্সকে কেউ তেমন একটা চিনে না।অনেকে নিজের কম্পিউটারে ২ গিগাবাইট র্যাম ব্যবহার করে থাকেন আর তাই সেখানে উইন্ডোজ ৭ ও বেশ ধীরে চলে।কিন্তু কেউ লিনাক্সের কথা একবার চিন্তাও করে।তবে চিন্তা করে না বললে ভুল হবে অনেকেই চিন্তা করে।তাহলে লিনাক্স কারা ব্যবহার করে?এটা দিয়ে কি উইন্ডোজ এর মত কাজ করা সম্ভব?আর এর গতিই বা কত?চলুন জেনে নেই লিনাক্স সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য।
শুরু করছি প্রথম প্রশ্ন দিয়ে যে লিনাক্স আসলে কারা ব্যবহার করে?লিনাক্স মূলত সবার জন্য ব্যবহার উপযোগী না বললে তেমন একটা মন্দ হবে না কিন্তু কেউ যদি লিনাক্স দিয়েই কম্পিউটার শেখা শুরু করে তাহলে যেকোন অপারেটিং সিস্টেমই তার কাছে সহজ।তাই যারা অম্পিউটারের ব্যাপারে একেবারেই বিগেনার তারা লিনাক্স ব্যবহার করতে পারে।কিন্তু লিনাক্সের ব্যবহার কারীদের একতা বড় অংশই হলো প্রোগ্রামার ও হ্যাকার।প্রোগ্রামিং করার জন্য লিনাক্স বেশ কিছু ফিচার দিয়ে থাকে যা যেকোন প্রোগ্রামারকে আকর্ষণ করতে পারে।আমি একজন ব্যবহারকারী হিসেবে বলছি আপনি যদি প্রোগ্রামিং রিলেটেড কোন কাজ করতে চান তাহলে আপনি আপনার অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে লিনাক্সে সুইচ করতে পারেন।আর আপনি যদি হ্যাকার হউন তাহলে তো আপনাকে চোখ বুজেই লিনাক্স বেছে নিতে হবে।কারণ লিনাক্সের একটা ডিস্ট্রিবিউশান আছে কালি লিনাক্স নামে এই ডিস্ট্রিবিউশানকে বানানো হয়েছে মূলত সাইবার সিকিউরিটি খাতে ব্যবহারের জন্য।আর ইথিক্যাল হ্যাকিং করতে বিভিন্ন ম্যালওয়্যার ও টুলস তৈরি ক্রতে এই কালির কোন বিকল্প নেই।
লিনাক্স ব্যবহার করতে কত গিগাবাইট র্যাম লাগবে তা নির্ভর করছে আপনি কোন ডিস্ট্রিবিউশান ব্যবহার করবেন তার উপর।আপনি যদি উবান্টু, কালি, নিয়ন বা ম্যাঞ্জারো লিনাক্স ব্যবহার করেন তাহলে আপনি এইগুলা মাত্র ৪ গিগাবাইট র্যামেই বেশ ভাল করে চালাতে পারবেন।আর যেহেতু লিনাক্স উইন্ডোজ ১০ এর চাইতে অনেক কম র্যাম ব্যবহার করে তাই যেখানে ২ গিগাবাইট র্যামে উইন্ডোজ ১০ মাঝে মাঝেই রিবুট করে সেখানে আপনি চাইলেই কোন প্রকার ল্যাগিং বা হ্যাং করা ছাড়াই দিব্যি লিনাক্স চালাতে পারবেন।
এবার আসি সফটওয়্যার কমিউনিটিতে।দেখা গেছে উইন্ডোজ এর সফটওয়্যার কমিউনিটি সবচেয়ে বড় মানে এখানে সফটওয়্যার এর সংখ্যা সবথেকে বেশি।আর এর পরে আছে লিনাক্স।আর তারপরে ম্যাক।হ্যাঁ, ম্যাকের সফটওয়্যার কমিউনিটি লিনাক্সের চাইতে ছোট।তার মানে হলো একটা অ্যাপ্লিকেশান যা লিনাক্সে আছে তা ম্যাকে আপনি নাও পেতে পারেন।আর আপনি যদি উইন্ডোজ থেকে লিনাক্সে আসতে চান তাহলে বেশ ভালই হবে আপনি অধিকাংশই আপ্পলিচাতিওনি লিনাক্সে পেয়ে যাবেন।
এবার জেনে নেওয়া যাক লিনাক্সের আরও কিছু বৈশিষ্ট্য।লিনাক্স সম্পূর্ণ ফ্রি আর এর কোন টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশানস নেই তার মানে আপনি লিনাক্সের সোর্স কোড পালটে দিয়ে নতুন একটা অপারেটিং সিস্টেম নিজের ইচ্ছা মত বানাতে পারবেন।আর লিনাক্সের আরেকটা বড় সুবিধা হলো এটি আপনি নিজের ইচ্ছা মত যেকোন প্রকার থিম লাগাতে পারেন।মানে আপনি উবান্টু ব্যবহার করলেও কেউ দেখে মনে করতে পারে যে আপনি ম্যাক ব্যবহার করছেন।