স্মার্টফোনের বাজারে অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কিন্তু আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার ফোনে কী কী অ্যাপ ইনস্টল করেছেন তা পুনরায় খেয়াল করার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
জেডস্কেলারের গবেষকরা ১৬টি বিপজ্জনক অ্যাপ সতর্ক করেছেন, যা আপনার এসএমএস মেসেজ, কন্টাক্ট লিস্ট এবং ডিভাইসের তথ্য চুরি করতে পারে। অ্যাপগুলোতে ‘জোকার’ নামক এক ধরনের ম্যালওয়্যার শনাক্ত করেছেন গবেষকরা।
এ সম্পর্কে এক ব্লগ পোস্টে জেডস্কেলার গবেষক ভাইরাল গান্ধী বলেন, ‘জোকার হলো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আক্রমণের শীর্ষস্থানীয় একটি ম্যালওয়্যার। এটি নীরবে বিভিন্ন বিজ্ঞাপনভর্তি ওয়েবসাইটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং মোবাইল থেকে মেসেজ, কনটাক্ট লিস্ট ও ডিভাইসের নানা তথ্য হাতিয়ে নেয়।’
নির্দিষ্ট এই ম্যালওয়্যার সম্পর্কে সচেতন থাকা সত্ত্বেও, কোড পরিবর্তন করে কিংবা ভিন্ন উপায়ে গুগল প্লে স্টোরে এর প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। আশার ব্যাপার হলো, বিপজ্জনক এই ১৬টি অ্যাপ গুগল প্লে স্টোর থেকে মুছে দিয়েছে গুগল। অন্যদিকে উদ্বেগের ব্যাপার, প্লে স্টোর থেকে এসব অ্যাপস ইতিমধ্যে প্রায় দেড় লাখ বার ডাউনলোড হয়েছে।
এ গবেষণার ভিত্তিতে, গবেষকরা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের তাদের স্মার্টফোনে কী কী অ্যাপ ইনস্টল করছেন সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
গান্ধীর মতে, আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনে কোনো অ্যাপ ইনস্টল করার ক্ষেত্রে অ্যাপটির পারমিশন লিস্টে গভীরভাবে মনোযোগ দেওয়া উচিত। সব অ্যাপকে এসএমএস, কল লগস, কন্টাক্টস, ক্যামেরার সহ অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ পারমিশন দেওয়া উচিত নয়। বিপজ্জনক অ্যাপ বুঝতে রিভিউ বা কমেন্ট পড়ে দেখা উচিত।
আপনার ফোনে নিচে উল্লেখিত ১৬টি অ্যাপের কোনোটি ইনস্টল করা থাকলে দ্রুত মুছে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
১. অল গুড পিডিএফ স্ক্যানার
২. মিন্ট লিফ মেসেজে-ইওর প্রাইভেট মেসেজ
৩. ইউনিক কিবোর্ড – ফ্যান্সি ফন্টস অ্যান্ড ফ্রি ইমোটিকনস
৪. ট্যাংরাম অ্যাপ লক
৫. ডিরেক্ট মেসেঞ্জার
৬. প্রাইভেট এসএমএস
৭. ওয়ান সেনটেন্স ট্রান্সলেটর – মাল্টিফাংশনাল ট্রান্সলেটর
৮. স্টাইল ফটো কোলাজ
৯. মেটিকুলাস স্ক্যানার
১০. ডিজায়ার ট্রান্সলেট
১১. টেলেন্ট ফটো এডিটর – ব্লার ফোকাস
১২. কেয়ার মেসেজ
১৩. পার্ট মেসেজ
১৪. পেপার ডক স্ক্যানার
১৫. ব্লু স্ক্যানার
১৬. হামিংবার্ড পিডিএফ কনভার্টার – ফটো টু পিডিএফ
প্লে স্টোরে ক্ষতিকর অ্যাপস ঠেকাতে দীর্ঘদিন থেকেই কাজ করছে গুগল। কিন্তু সাইবার অপরাধীরা ম্যালওয়্যার বা গোপন কোড ব্যবহারসহ নানা কৌশলে ক্ষতিকর অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য হাতিয়ে নেয়। আর প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা বেড়েই চলেছে। গুগল সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরও প্লে স্টোরে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই ক্ষতিকর অ্যাপসের সন্ধান পান।