মোবাইল ফোন! বর্তমান সময় যতগুলো সেরা আবিষ্কার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোবাইল ফোন । এখন মোবাইল ফোন বলতে গেলে কম্পিউটারের জায়গা দখল করে নিয়েছে। পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের হাতেই এখন মোবাইল ফোন । কারণ এখন মোবাইল ফোনের সহজলভ্যতা হয়েছে৷ মোবাইল ফোন থেকে শুধু কেবলমাত্র কথাই বলা যায় তা নয় তার পাশাপাশি আরও ফিচারস রয়েছে।
ক্যামেরা, ভিডিও, ভিডিও গেমস এধরনের আরো অনেক কিছু । সেকারণে মোবাইল পর বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের কাছে বেশী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ৷
এগুলো তো আমাদের জানা কথা । কিন্তু এই আর্টিকেলে আপনারা মোবাইল ফোন সম্পর্কে এমন কিছু তথ্য জানতে চলেছেন যা জানার পর পর আপনি বিচলিত এবং অবাক হতে বাধ্য হবেন।
১. মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক মার্টিন কুপার মূলত তাঁর প্রিয় কমিক্স বই থেকে মোবাইল ফোনের ডিজাইনের ধারণা নেন । তোর কাছে ব্যাপারটি বেশ পছন্দ হয়েছিল। রেডিও তরঙ্গ ব্যবহার করে কমিক্সের হিরোরা একজনের সাথে আরেকজন যোগাযোগ করতে পারত। তিনি মনে মনে ভাবতেন, ইস! আমিও যদি একটা যন্ত্র সত্যি সত্যি আবিষ্কার করতে পারতাম । সেই সময় সেটা সায়েন্স ফিকশনের গল্প ছাড়া কিছু ছিল না৷
২. অ্যাপেলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক-কে প্রায় কমবেশি সবাই চিনেন। তিনি প্রথম ফোন ক্রয় করে যে নাম্বারটি বেছে নিয়েছেন তা কিছুটা এমন ছিল ৮৮৮৮৮৮৮৮৮৮৮৮৮
বলতে গেলে এক রকমের বাধ্য হয়ে তাঁকে ফোন নাম্বারটি চেঞ্জ করতে হয়েছিল । কারণ ফোন নাম্বার থেকে অনেক ধরনের রং কল চলে আসত তার ফোনে। ফোনটা সুইচ অফ রাখা যাবে না কারণ সুইচ অফ রাখতে পারে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ফোন কল মিস হয়ে যেতে পারে । সে কারণেই তিনি পরবর্তীতে তার ফোন নাম্বারটি বদলান।
৩.গুগল!
এই অদ্ভুত জিনিসটা ছড়িয়ে আছে সারা বিশ্বে। এমন কি আপনার ফোনের ভেতরেও। তবে জেনে অবাক হবেন গুগোল কোন নির্দিষ্ট এলাকার ট্রাফিক ফিড জানানোর জন্য অ্যান্ড্রয়েড ফোন গুলোর জিপিএস সিস্টেম ব্যবহার করে। জেনে অবাক হচ্ছেন তাই তো! এমনকি গুগোল আপনার ফোনের আরো অনেক কিছুই ব্যবহার করে যা আপনি হয়তো জানেন না।
৪. আপনি কি জানেন কোন দেশের কিশোরীরা সবচেয়ে বেশি ফোন ব্যবহার করে?
না, বাংলাদেশের কিশোরেরা নয়। বরং জাপানের কিশোরেরা সবচেয়ে বেশি ফোন ব্যবহার করে। এবং সে কারণে তাদের ফোনগুলো ওয়াটারপ্রুফ হয়। কারণ জাপানি ছেলে মেয়েরা গোসল করার সময় ফোনে কথা বলে অথবা ফোনে কাজ করে৷
৫. টাচস্ক্রিন সমৃদ্ধ ফোন কবে সর্ব প্রথম বাজারে আসে জানেন?
আপনার মনে হতে পারে এইতো সম্প্রতি সময়ে, অর্থাৎ একাংশ শতাব্দীতে।
না আপনার ধারণা সম্পূর্ণ ভুল! আইবিএম কোম্পানি ১৯৯৩ সালে একটি ফোন তৈরি করে যেটি কেবলমাত্র ইমেইল প্রেরণের কাজে ব্যবহার করা হতো । এবং এটি টাচস্ক্রিন সমৃদ্ধ ছিল।
৬. প্রতিদিন পৃথিবীতে কত বার্তা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেরিত হচ্ছে, আপনি আমাকে বলতে পারেন? অসংখ্য!
তবে ঠিক কত? ২০১৩ সালেই প্রতিদিন বার্তা প্রেরণের হার ছিল প্রায় ৯ ট্রিলিয়ন । এটা যদি বিশ্বের সকল মানুষের মধ্যে ভাগ করে দেয়া যেত তাহলে প্রতিদিন সকলকে ১২০০ এর বেশি বার্তা পড়তে হতো।
৭. আপনি কি জানেন মার্টিন কুপার সর্বপ্রথম যখন ফোন আবিষ্কার করে তখন সে ফোনের দাম কত ছিল?
জেনে অবাক হবেন সেই সময় ফোন গুলোর দাম ছিল প্রায় ৪ হাজার মার্কিন ডলার। এখনকার সময় চার হাজার মার্কিন ডলারের দাম প্রায় ৩ লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা। তাহলে সেই সময় এই মার্কিন ডলারের দাম কত ছিল একবার ভেবে দেখুন!
অথচ এখন ১০০০ টাকা মূল্যের তারচেয়ে অ্যাডভান্স ফোন পাওয়া যায় বাংলাদেশের বাজারে।