অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি। নতুন ফোন ক্রয় করার সময় গ্রাহক তার ফোনের আইএমইআইর বিটিআরসি ডাটাবেজে আছে কিনা তা যাচাই করে নিতে এবং যদি আইএমইআইর বিটিআরসি ডাটাবেজে না থাকে তাহলে সেই ফোন ক্রয় থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়েছে বিটিআরসি ।
সংস্থার সিনিয়র সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) জাকির হোসেন খান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী বছরের শুরু থেকেই এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, নতুন এই প্রযুক্তি চালু হলে গ্রাহকের হাতে থাকা এসব হ্যান্ডসেটে কোনো অপারেটরের সিমই চলবে না। বৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করতে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) প্রযুক্তি সরবরাহ ও পরিচালনার দরপত্র প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে।
জাকির হোসেন খান জানান, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত মোট ১১ কোটি ৮২ লাখ ২৩ হাজার ৭৬৩টি আইএমইআই নম্বর ডেটাবেজে যুক্ত করা হয়েছে। মোবাইল ফোন আমদানিকারক, অপারেটর ও দেশে হ্যান্ডসেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে তথ্য নিয়ে এ ডেটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। বর্তমানে ‘কেওয়াইডি’ লিখে স্পেস দিয়ে হ্যান্ডসেটের আইএমইআই নম্বরটি ১৬০০২ নম্বরে এসএমএস পাঠিয়ে গ্রাহকরা হ্যান্ডসেট কেনার আগে সেটি আসল কিনা, যাচাই করে নিতে পারছেন।
তিনি আরও জানান, ২০১৯ সালের আগস্টের আগে ক্রয়কৃত যেসব সেট মোবাইল অপারেটরদের নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে, সেসব হ্যান্ডসেট নির্ধারিত সময়ের জন্য নিবন্ধিত করার একটা সুযোগ দেওয়া হবে। আর বিদেশ থেকে হ্যান্ডসেট কিনলে তা নিয়ে আসার জন্য ক্রয়ের রসিদ ও আনুষঙ্গিক কাগজপত্র সংরক্ষণ করতে হবে। পরবর্তী সময়ে এনইআইআর চালু হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পর্যালোচনা করে সেসব আইএমইআই নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে।