অনলাইনে অবৈধ এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট ছড়ানো বন্ধ করতে ‘আরও কিছু’ করতে হবে প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এবং এজন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন কিছু নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে বলে মত দিয়েছেন ইউরোপের অ্যান্টিট্রাস্ট প্রধান মারগ্রেথ ভেস্টাগার।
প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ডিজিটাল বাজারে ব্যর্থতা প্রতিহত করতে প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নতুন ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাবনাও করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের হয়ে কাজ করা ডেনমার্কের এই রাজনীতিবিদ।
অবৈধ এবং ক্ষতিকর কনটেন্ট ঠেকানোর লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট-এর আওতায় বিক্রেতার পরিচয় শনাক্ত করতে হবে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে। এরপরই কেবল বিক্রেতা প্ল্যাটফর্মটির সেবা নিতে পারবে।
ভেস্টাগার বলেছেন, নিজেদের পদক্ষেপ বিষয়ে প্রতিবেদন বানাতে হবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। বিজ্ঞাপনের জন্য কারা অর্থ দিচ্ছেন এবং নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনে কেন গ্রাহককে লক্ষ্য বানানো হয়েছে সে বিষয়গুলো গ্রাহককে জানাতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপের ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট’ নীতিমালা বানানো হচ্ছে অনলাইন গেইটকিপারদের লক্ষ্য করে।
ইউরোপিয়ান পলিসি সেন্টারের এক আয়োজনে ভেস্টাগার আরও বলেছেন, “প্রস্তাবনার দুইটি স্তম্ভ থাকবে। “প্রথম স্তম্ভটি হবে ডিজিটাল গেইটকিপারদের জন্য, যাতে স্পষ্টভাবে বলা থাকবে কী করা যাবে এবং কী করা যাবে না।”
নতুন নীতিমালায় নিজস্ব সেবা ব্যবহারে গ্রাহককে চাপ দেওয়া যাবে না। গ্রাহকের জন্য একাধিক প্ল্যাটফর্ম বা সেবা ব্যবহার কঠিন করা যাবে না।
ভেস্টাগার আরও বলেছেন, দ্বিতীয় স্তম্ভ হিসেবে ‘ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্ট’-এর আওতায় বাজারে তদন্তের একটি ফ্রেইমওয়ার্ক বা কর্মকাঠামো বানানো হবে, যা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি দেশই অনুসরণ করবে।