তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহারে বাংলাদেশের যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন প্রযুক্তি নির্ভর দক্ষ মানব সম্পদ তৈরিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আইসিটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উন্নত ডিজিটাল ল্যাব চালু রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ যুবসমাজকে দেশের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতে উৎসাহিত করতে “গ্লোবাল ইয়ং লিডার সামিট-২০২০” উপলক্ষে জুম অনলাইনে যুক্ত হয়ে কি-নোট স্পিকারের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী দুশিয়ন্ত চৌতলা, এফআইসিসিআই ইয়ং লিডারস ফোরামের কো-চেয়ার-সহ অন্যান্যরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
পলক বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার দেশে ৬৪ টি শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার, স্কুল অব ফিউচার এবং সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৩,০০০ শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব নির্মাণসহ বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ সকল কার্যক্রম মানবসম্পদ উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট (ওআইআই) এর জরিপের কথা উল্লেখ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ৬ লক্ষ এর অধিক ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। ফ্রিল্যান্সিং শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম।
করোনার মহামারী কালেও ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখে চলতি বছরের জুনে ৫.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে জানান পলক। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমেই ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের জিডিপি ৩৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন মহামারী চলাকালীনও আইসিটি বিভাগ প্রায় ৫০,০০০ যুবক এবং মহিলাদের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন আমাদের মূল লক্ষ হল বাংলাদেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে ২৬তম বৃহত্তম অর্থনীতির ২০৪১ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয় ১২,০০০ মার্কিন ডলার আয় করে জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতি এবং উচ্চ আয়ের দেশে উন্নীত করা।