ভবিষ্যতের উইন্ডোজ পিসিতে আরও বেশি নিরাপত্তা বাড়াতে তৈরি হচ্ছে মাইক্রোসফট প্লুটোন প্রসেসর। নতুন এ প্রসেসর তৈরিতে একত্রে কাজ করছে এএমডি, ইনটেল ও কোয়ালকম। মাইক্রোসফট তাদের এক্সবক্স ও অ্যাজুর স্পেয়ারে যে নিরাপত্তা সুবিধা দেয় সে রকমই পিসিতে চিপ টু ক্লাউড সুবিধা দেবে এ প্রসেসর।
মাইক্রোসফট প্লুটোন প্রসেসর বাজারে এলে তা এখনকার ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউলের (টিপিএম) বিকল্প হবে। এটি মূলত একধরনের হার্ডওয়্যার যন্ত্রাংশ, যা পিসিতে ক্রিপটোগ্রাফিক চাবি সংরক্ষণ করে, যা সিস্টেম সুরক্ষিত করার ব্যবস্থা।
টিপিএম এত দিন উইন্ডোজ পিসি ব্যবহারকারীদের নিরাপদ কম্পিউটার ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দিয়েছে। কিন্তু সাইবার দুর্বৃত্তরা নানা কৌশলে সিপিইউ ও টিপিএমের মধ্যকার যোগাযোগের চ্যানেলকে লক্ষ্যবস্তু বানায়।
এখান থেকে হার্ডওয়্যারে হামলা চালিয়ে ব্যবহারকারীর স্পর্শকাতর তথ্য বের করে নেয় তারা। মাইক্রোসফট এখন প্লুটোন তৈরি করে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালাচ্ছে।
মাইক্রোসফটের এন্টারপ্রাইজ এবং ওএস সিকিউরিটির পরিচালক ডেভিড ওয়েস্টন এক ব্লগ পোস্টে লিখেছেন, প্লুটোননির্ভর উইন্ডোজ যন্ত্রগুলোতে ব্যক্তিগত তথ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুরক্ষা পাওয়া যাবে। প্লুটোন থেকে তথ্য সরানো যাবে না। হ্যাকার বা কোনো দুর্বৃত্ত যদি ম্যালওয়্যার বসায় বা পিসি দখল নিয়ে নেয় তারপরও সে কোনো তথ্য বের করতে পারবে না।
প্লুটোন প্রসেসর এনক্রিপশন কির মতো স্পর্শকাতর তথ্য সিস্টেম থেকে আলাদা করে ফেলতে পারবে। এতে সিকিউর হার্ডওয়্যার ক্রিপটোগ্রাফি কি (এসএইচএসিকে) প্রযুক্তি থাকবে, যা তথ্য সুরক্ষিত হার্ডওয়্যারের বাইরে যেতে দেবে না।
এই প্রসেসরের সঙ্গে উইন্ডোজ আপডেট প্রসেস সংযুক্ত থাকবে বলে মাইক্রোসফট এতে নিরাপত্তা হালনাগাদ দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবে।
প্লুটোন এক্সবক্স ওয়ান কনসোলে ২০১৩ সালে যুক্ত হয়। এর ফলে পাইরেটেড কোনো গেম এতে চালানো যায় না। পরে মাইক্রোসফট তাদের অ্যাজুর স্পেয়ারে নিয়ে যায় যাতে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) নিরাপদ রাখা যায়।
ভবিষ্যতে প্লুটোন প্রসেসরের সঙ্গে এএমডি, ইনটেল ও কোয়ালকমের চিপ যুক্ত করা যাবে যাতে পিসিতেই বিল্টইন নিরাপত্তা প্রযুক্তি যুক্ত থাকবে। এর আগে পিসিতে বড় আকারের যেসব আক্রমণ চালাতে পারত দুর্বৃত্তরা ভবিষ্যতে তা ঠেকানো যাবে।