সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম আমাদের আধুনিক জীবনে এক নতুন বাস্তবতা। গ্রামের চায়ের দোকানে মানুষ তথ্যের জন্য এখন আর পত্রিকার পাতা ঘাঁটাঘাঁটি করে না। তার বদলে এসেছে স্মার্টফোন ও আইফোননির্ভরতা।
গণমাধ্যমে তথ্যের বিপণনের সাবেকি প্রথা এখন আর নেই। চারপাশে, দেশে-বিদেশে কী ঘটছে, সেগুলো ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব, গুগলসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে পেয়ে যাচ্ছে সবাই।
আপনি কী জানেন ফেসবুক কত নম্বর আছে আর ইউটিউব কত নম্বর আছে বিশ্বে
১. গুগল
২ .ইউটিউব
৩.ফেসবুক
এখন জানবে দুটা মধ্য কী এমন পার্থক্য
প্রথম ফেসবুক সম্পর্কে জানব
ফেসবুক (ইংরেজি: Facebook) অথবা ফেসবুক (সংক্ষেপে ফেবু নামেও পরিচিত) বিশ্ব-সামাজিক আন্তঃযোগাযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট, যা ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এটিতে বিনামূল্যে সদস্য হওয়া যায়। এর মালিক হলো ফেসবুক ইনক। ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন, বার্তা প্রেরণ এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন, সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর, কর্মস্থল, বিদ্যালয় এবং অঞ্চল-ভিক্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যকার উত্তম জানাশোনাকে উপলক্ষ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক প্রদত্ত বইয়ের নাম থেকে এই ওয়েবসাইটটির নামকরণ করা হয়েছে।
(মার্ক জাকারবার্গের প্রোফাইল লগইন পৃষ্ঠা থেকে দেখা হয়েছে)
মার্ক জাকারবার্গ হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন তার কক্ষনিবাসী ও কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের ছাত্র এডুয়ার্ডো স্যাভেরিন, ডাস্টিন মস্কোভিত্স এবং ক্রিস হিউজেসের যৌথ প্রচেষ্টায় ফেসবুক নির্মাণ করেন। ওয়েবসাইটটির সদস্য প্রাথমিকভাবে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী
দের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, কিন্তু পরে সেটা বোস্টন শহরের অন্যান্য কলেজ, আইভি লীগ এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়। আরো পরে এটা সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাই স্কুল এবং ১৩ বছর বা ততোধিক বয়স্কদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সারা বিশ্বে বর্তমানে এই ওয়েবসাইটটি ব্যবহারকরছেন
ফেসবুক তার চলার পথে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছে।বাংলাদেশ, সিরিয়া, চায়না এবং ইরান সহ বেশ কয়েকটি দেশে এটা আংশিকভাবে কার্যকর আছে। এটার ব্যবহার সময় অপচয় ব্যাখ্যা দিয়ে কর্মচারীদের নিরুৎসাহিত করে তা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ফেসবুক ওয়েবসাইট কে আইন জটিলতায় পড়তে হয়েছে বেশ কয়েকবার জাকারবার্গের সহপাঠী কর্তৃক, তারা অভিযোগ এনেছেন যে ফেসবুক তাদের সোর্স কোড এবং অন্যান্য বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি আত্মসাৎ করেছে।
ফেব্রুয়ারি ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী ফেসবুকের মূলধন ২১২ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে উঠেছে।
ইউটিউব ব্যবহারকারীদের আপলোড, দেখার সুযোগ প্রদানের পাশাপাশি মূল্যায়ন, শেয়ার, প্লেলিস্টে যুক্তকরণ, রিপোর্ট, ভিডিওগুলিতে মন্তব্য করা এবং অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাবস্ক্রাইব করার সুবিধা প্রদান করে। এটি ব্যবহারকারী-উৎপাদিত এবং কর্পোরেট মিডিয়া ভিডিওর বিস্তৃত উপস্থাপন করে। উপলভ্য সামগ্রীর মধ্যে ভিডিও ক্লিপ, টিভি শো ক্লিপ, সঙ্গীত ভিডিও, স্বল্পদৈর্ঘ্য এবং প্রামাণ্য চলচ্চিত্র, অডিও রেকর্ডিং, মুভি ট্রেলার, লাইভ স্ট্রিম এবং ভিডিও ব্লগিং, স্বল্পদৈর্ঘ্য মূল ভিডিও এবং শিক্ষামূলক ভিডিওর মতো অন্যান্য সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ইউটিউবে বেশিরভাগ সামগ্রী ব্যক্তিগতভাবে আপলোড করা হয়, তবে সিবিএস, বিবিসি, ভেভো, এবং হুলু সহ মিডিয়া কর্পোরেশনগুলি ইউটিউব অংশীদারিত্বের প্রোগ্রামের অংশ হিসাবে তাদের কিছু উপাদান ইউটিউবের মাধ্যমে সরবরাহ করে। নিবন্ধিত ব্যবহারকারীরা কেবলমাত্র সাইটেই ভিডিও দেখতে (তবে আপলোড করতে পারবেন না) পারবেন, তবে নিবন্ধিত ব্যবহারকারীদেরও সীমাহীন সংখ্যক ভিডিও আপলোড এবং ভিডিওগুলিতে মন্তব্য করার অনুমতি রয়েছে। বয়স-সীমাবদ্ধ এমন ভিডিওগুলি কেবল নিবন্ধিত ব্যবহারকারীদের জন্যই নিজেকে কমপক্ষে ১৮ বছর বয়সের স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে দেখার অনুমোদন রয়েছে।
ইউটিউব এবং নির্বাচিত নির্মাতা গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন উপার্জন অর্জন করে, এটি এমন একটি প্রোগ্রাম যা সাইটের সামগ্রী এবং শ্রোতা অনুযায়ী বিজ্ঞাপনকে লক্ষ্য করে। ইউটিউবের সিংহভাগ ভিডিও নিখরচায় দেখার জন্য উন্মুক্ত, তবে সাবস্ক্রিপশন-ভিত্তিক প্রিমিয়াম চ্যানেল, চলচ্চিত্র ভাড়া, পাশাপাশি ইউটিউব মিউজিক এবং ইউটিউব প্রিমিয়াম সহ সাবস্ক্রিপশন পরিসেবাগুলি যথাক্রমে প্রিমিয়াম ও বিজ্ঞাপন-মুক্ত সঙ্গীত স্ট্রিমিং এবং উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব থেকে কমিশনযুক্ত একচেটিয়া সামগ্রী সহ সমস্ত সামগ্রীতে বিনামূল্যে প্রবেশযোগ্য। ফেব্রুয়ারি ২০১৭-এর হিসাব অনুযায়ী, ইউটিউবে প্রতি মিনিটে ৪০০ ঘন্টারও বেশি সামগ্রী আপলোড হত এবং প্রতিদিন এক বিলিয়ন ঘন্টা সামগ্রী দেখা হতো। আগস্ট ২০১৮-এর হিসাব অনুযায়ী, গুগলের পরই, অ্যালেক্সা ইন্টারনেট অনুসারে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় সাইট হিসাবে স্থান পেয়েছে। মে ২০১৯-এর হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মিনিটে ইউটিউবে ৫০০ ঘন্টারও বেশি ভিডিও সামগ্রী আপলোড করা হয়। প্রতিবেদনিত ত্রৈমাসিক বিজ্ঞাপনের রাজস্বের ভিত্তিতে, ইউটিউবের বার্ষিক আয় US$১৫ বিলিয়ন অনুমান করা হয়।
ইউটিউব আপলোড করা ভিডিওর মধ্যে থাকা কপিরাইটযুক্ত বিষয়বস্তু পরিচালনা করার জন্য, সেগুলির রিপোর্ট অনুসারে অ্যালগরিদম ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং মিথ্যাচার প্রচার করে এমন ভিডিওগুলিকে স্থগিত করে। শিশুদের লক্ষ্য করে এমন ভিডিওগুলিতে জনপ্রিয় চরিত্রগুলিতে জড়িত সহিংস বা যৌন পরামর্শদায়ক সামগ্রী, নাবালিকাদের ভিডিও মন্তব্য বিভাগে পেডোফিলিক ক্রিয়াকলাপ আকর্ষণ, এবং বিজ্ঞাপনে নগদীকরণের জন্য উপযুক্ত এমন সামগ্রীর প্রকারের ওঠানামা নীতিমালা অনুসরণ করে।