ক্যামেরা – এমন এক অসাধারণ প্রযুক্তি যা আমাদের মুল্যবান স্মৃতিগুলোকে চিরকালের জন্য ফ্রেমে বন্দী করে ফেলতে পারে! সবাই ছবি তুলতে ভালোবাসেন কিন্তু ক্যামেরা কেনার সময় অনেকেই ব্যাপক বিভ্রান্তিতে ভোগেন। বিশেষ করে আজকের জমানায় এতরকম ডিজাইন আর বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অপশনের ছড়াছড়ি যে কোনটা রেখে কোনটা নেবেন, কোনটা আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট, কোনটা আপনি কিনলে সহজে ব্যবহার করতে পারবেন এসব চিন্তা একপ্রকার সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
ক্যানোন ২০০ডি ওভারভিউ
অনেকেই আছেন যারা জীবনে প্রথম ফটোগ্রাফি শুরু করতে চাচ্ছেন। বা ইউটিউব চ্যানেল খুলে ভিডিও পাবলিশ করতে চাচ্ছেন। কিন্তু প্রথম ডিএসএলআরের পেছনে বেশি খরচ করতে চাচ্ছেন না। এমন ডিএসএলআর চাচ্ছেন যার ইমেজ এবং ভিডিও কোয়ালিটি যেন বেস্ট হয় কিন্তু এর জন্য যেন পকেট পোড়াতে না হয়। এমন কোয়ালিটির ক্যামেরার দামের রেঞ্জ সাধারণত ৪০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। আজকে আমরা এমন একটি ডিএসএলআর সম্পর্কে জেনে নেব যা আপনার এই চাহিদাকে পূরণ করতে সফল হবে, কিন্তু পকেট পোড়াবে না। আমাদের আজকের ক্যামেরা হচ্ছে ক্যানোন ২০০ডি ডিএসএলআর ক্যামেরা। এটি রিলিজ হয় ২০১৭ এর জুলাই মাসে ক্যাননের এন্ট্রি লেভেল ফুল ফ্রেম ক্যামেরা ক্যানোন ৬ডি মার্ক ২ এর সাথে। প্রাইভেট সেলারদের কাছে 18-55 মিলিমিটার কিট লেন্স সহ এর দাম পরবে প্রায় ৪৩ থেকে ৪৪ হাজার টাকা। এই দামে ক্যানোন ২০০ডি আপনাকে কি অফার করছে সেই সম্পর্কে আমরা আজ সব কিছু দেখে নেব।
ক্যামেরা বডি
বক্স থেকে বের করলেই যে জিনিসটি হবে আপনার নজরে মেইন এট্রাকশন তা হচ্ছে ক্যামেরা নিজেই।বডির জেনারেল স্পেসিফিকেশন দিতে হলে এর ডাইমেনশন হচ্ছে ৪.৯” বাই ৩.৬৫” বাই ২.৭৩”। অর্থাৎ ক্যামেরাটা হচ্ছে এতটাই ছোট, যে কোন সাইজের হাতে এটে যাবে। এমনকি পকেটে নিয়েও ঘুরে বেড়াতে পারবেন। তবে অবশ্যই লেন্স খুলে রেখে লেন্স মাউন্ট কভার দিয়ে আটকে রাখতে হবে।
এর ওজন হচ্ছে মাত্র ৪৫৩ গ্রাম। ব্যাটারি, মেমোরি কার্ড আর কিট লেন্স সহ এর ওজন এক কেজির কাছাকাছিও যায় না। এর উপরের লেভেলের ক্যামেরার ওজন ৭০০ গ্রাম+ হয়ে থাকে। তাই যারা ভ্লগার আছেন বা হ্যান্ড হেল্ড ফটোগ্রাফি করেন তাদের জন্য এই হালকা ওজন অনেক উপকারে দেবে।
ব্যাটারি হিসেবে দেয়া হয়েছে এলপিই17 যা এক চার্জে আপনাকে দেবে প্রায় ২ থেকে আড়াই ঘন্টার মত টানা অনটাইম। তাই যারা ভিডিও করবেন তাদের জন্য রেকমেন্ড করব দুই তিনটি এক্সট্রা ব্যাটারি সাথে রাখার জন্য। আর মেমোরি সাপোর্ট করবে এসডি এসডিএইচ ছি, এসডি এক্সছি টাইপ।
ক্যামেরার সামনের অংশ
ক্যামেরার ফ্রন্টে আপনারা শুরুতেই দেখতে পাবেন স্টিল ফ্রেমে মোড়ান লেন্স মাউন্ট। এর ভিতরেই চোখে পরবে ক্যামেরার আয়নাটি। আয়নার পেছনে লজ্জাবতীর মত লুকিয়ে আছে সেন্সর ও ইমেজ প্রসেসরের কাপল। এই ক্যামেরার মধ্যে সাপোর্ট করবে ক্যাননের ফুল ফ্রেম ইএফ ও ক্রপ সেন্সর ইএফএস দুই ধরণের লেন্সই। থার্ড পার্টির ক্যানন কম্প্যাটিবল লেন্সও লাগাতে পারবেন।
লেন্স মাউন্টের উপরে আপনি দেখতে পাবেন সাদা রঙের Canon ব্র্যান্ডিং। লেখার দুই পাশে দুটি বিল্ট ইন মাইক্রোফোন। তবে মাইক্রোফোনের কোয়ালিটি যাচ্ছে তাই। ভিডিওর জন্য সবসময় বলব এক্সটারনাল মাইক ব্যাবহার করা। লেন্স মাউন্টের ডান পাশে দেখতে পাবেন লেন্স রিলিজ বাটন। বাটনটির উপরে পপ আপ ফ্ল্যাশ বাটন আর নীচে আরো একটি বাটন।
ক্যামেরার অপরের অংশ
ক্যামেরার উপরে একটি এন্ট্রি লেভেলের ক্যামেরায় যা পাওয়ার কথা সেটিই পাবেন। বাম দিকে দেখতে পাবেন ওয়াই ফাই বাটন আর স্ট্র্যাপ হুক। মাঝখানে হট শু মাউন্ট ও লুকিয়ে থাকা ফ্ল্যাশ। ডানে শাটার বাটন, এক্সপোজার হুইল, ISO ও ডিসপ্লে অন অফ বাটন।
এর নীচে দেখতে পাবেন মোড চেঞ্জ হুইল। মোড চেঞ্জ হুইলটি খেয়াল করলে দেখবেন দামী ক্যামেরায় যে সকল মোড দেখা যায় তার থেকে অনেক কম মোড রয়েছে। যেহেতু এন্ট্রি লেভেল ক্যামেরা, তাই প্রো ক্যামেরার মত এত মোড পাচ্ছেন না। মোড চেঞ্জ হুইলের পাশেই ডেডিকেটেড ভিডিও মোড সহ অন/অফ সুইচটি দেখতে পাবেন। এর পাশে রয়েছে অপর স্ট্র্যাপ হুকটি।
ক্যামেরার পেছনের অংশ
এবার আসা যাক ক্যামেরার পেছনের অংশে। যেহেতু এন্ট্রি লেভেলের ক্যামেরা, আপার লেভেল ক্যামেরার অনেক বাটনই আপনারা দেখতে পাবেন না এই ক্যামেরায়। ব্র্যান্ড নিউ নেয়ার সময় আপনার চোখে পরবে ক্লোজড ডিসপ্লেটি। ডিসপ্লের উপরে বাম দিকে দেখতে পাবেন মেন্যু আর ইনফো বাটন। এর পাশেই দেখতে পাবেন ক্যামেরার পেন্টামিরর অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডার। ছবি তোলার সময় এটি আপনাকে ৯৫% ভিউ কভারেজ দেবে। এর পাশেই ফটোগ্রাফির সময় লাইভভিউ ডিসপ্লে অন অফ বাটন যা ভিডিও শুটের সময় রেকর্ডিং অন অফের কাজ করবে।
ডান দিকের আপার কর্নারে দেখতে পাবেন দুটি বাটন যা কাজ করবে ক্যামেরার ছবি জুম ইন ও আউট বাটন হিসেবে। (-) বাটনটি আপনার সব ছবি ডিসপ্লেতে আনার কাজও করবে। এর নীচে ডিসপ্লের একেবারে পাশে দেখতে পাবেন এক্সপোজার মোড সিলেক্ট বাটন, ন্যাভিগেশন ও সিলেকশন বাটন, মিডিয়া প্লে বাটন এবং ডিলিট বাটন।
ডিসপ্লে
ক্যানোন ২০০ডি তে দেয়া আছে ৩ ইঞ্চির ভ্যারি এঙ্গেল ১.০৪ মিলিওন sRGB ডটের ক্লিয়ার ভিউ টিএফটি ডিসপ্লে। টেকনিক্যালিটি সরিয়ে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে গেলে এতে আপনারা পাচ্ছেন সাইডে ফ্লিপ করা যায় এমন একটি টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লে। ক্যাননের সাধারণ কনজুমার টার্গেট করা ক্যামেরাতে আমরা অনেক বছর ধরেই এই ধরণের ডিসপ্লে দেখে আসছি। এই ডিসপ্লে সেলফ শুটার বিশেষ করে ভ্লগারদের জন্য অনেক উপকারি।
এই ডিসপ্লেকে আপনি সাইডে মুভ করে উপর, নীচে, সামনে, পিছে মোট ২৭০ ডিগ্রী পর্যন্ত ফ্লিপ করতে পারবেন। এতে করে ভিডিও বা ছবি তোলার সময় আপনি আপনার সুবিধামত পজিশন অনুযায়ী ডিসপ্লে এডজাস্ট করে নিতে পারবেন। ভ্লগিং করতে গেলে ইজিলি লেন্সের উপর থেকে চোখ না সরিয়ে পাশের সেলফি মোডে থাকা ডিসপ্লেতেই দেখে নিতে পারবেন আপনি ফোকাসে আছেন কিনা। এছাড়াও, ক্যামেরার অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডার আপনাকে ৯৫% কভারেজ দিলেও ডিসপ্লেতে আপনি পুরো ১০০% কভারেজ পাবেন। আর যেহেতু এটি ক্যানন, এর ডিসপ্লের টাচ রেসপন্সও অনেক ভাল পাবেন। এছাড়া, ছবি তোলা বা ভিডিও শুট করার সময় স্ক্রিনে টাচ করে আপনি আপনার ফোকাস ঠিক করে নিতে পারবেন। অন্যান্য এন্ট্রি লেভেলের ক্যামেরাতে সাধারণত টাচ স্ক্রিন দেখা যায় না। আর দেখা গেলেও তাদের রেসপন্স অনেকটাই খারাপ হয়ে থাকে।
সাইড এবং বটম
ক্যামেরার বাম দিকে খুজে পাবেন মাইক্রোফোন ও রিমোট শাটার ইনপুট এবং ডানদিকে খুজে পাবেন মাইক্রো ইউএসবি ৩.০ এবং মিনি এইচডিএমআই পোর্ট। নীচে খুজে পাবেন ট্রাইপডের জন্য মাউন্ট হোল এবং ব্যাটারি ও এসডি কার্ড কম্বো মাউন্টিং প্লেস।
ফটোগ্রাফি ফিচারস
যেহেতু এটি একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা, এটি দিয়ে অবশ্যই ফটোগ্রাফি করতে চাইবেন। দেখে নেয়া যাক ফটোগ্রাফির জন্য কি কি জিনিস দেয়া আছে Canon 200D ক্যামেরায়।
সেন্সর ও ইমেজ প্রসেসর
এন্ট্রি লেভেল ক্যামেরা হওয়া সত্ত্বেও সেন্সর ও ইমেজ প্রসেসরে ২০১৭ এর ল্যাটেস্ট কম্পোনেন্ট দিতে কার্পণ্য করেনি ক্যানন। এর মধ্যে আপনারা পাবেন 24.2 মেগাপিক্সেলের APSC CMOS সেন্সর। এটি হচ্ছে ফুল ফ্রেম সেন্সরের এক ধাপ নীচে। এতে আপনি ফুল ফ্রেম ক্যামেরার থেকে ১.৬ গুণ জুম পাবেন। প্রতি জেনারেশনেই আমরা সেন্সরের আপগ্রেড দেখতে পাই।
ইমেজ প্রসেসর হিসেবে দেয়া হয়েছে ক্যাননের Digic 7 প্রসেসর। ইমেজ প্রসেসর মেইনলি নির্ধারণ করে ক্যামেরার আইএসও ক্যাপাবিলিটি, লো লাইট পারফর্মেন্স এবং হাই আইএসও তে ছবির মধ্যে কতটুকু নয়েজ আসবে। আগের জেনারেশনের Digic 6 প্রসেসর থেকে এই প্রসেসরের আইএসও ক্যাপাবিলিটি অনেক বেশি। Canon 200D এর আইএসও ক্যাপাবিলিটি হচ্ছে ১০০ থেকে ৫১২০০ পর্যন্ত। ২০১৮ সালে বের হয়েছে Digic 8 প্রসেসর। যেহেতু ২০১৭ সালের রিলিজ, তাই এতে Digic 8 প্রসেসর নেই।
অটো ফোকাস
এবার আসা যাক ছবি তোলার সময় ক্যামেরার অটোফোকাস কেমন কাজ করে সেটির দিকে। আপনি যদি মোবাইলের মত ডিসপ্লে দেখে ছবি তুলে থাকেন তাহলে এর ফোকাসিঙ্গের কোন সমস্যা খুজে পাবেন না। ডিসপ্লের যে অংশটি টাচ করবেন ঠিক সেই অংশতেই আপনি বরাবর ফোকাস পাবেন। কিন্তু এর অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডার দিয়ে ছবি তুলতে গেলে আপনাকে পরতে হবে খুব ভাল ধরণের সমস্যার মধ্যে।
ওভিএফে দেয়া আছে মাত্র ৯ টি অটোফোকাস পয়েন্ট যার মধ্যে শুধু মাত্র মাঝখানের অংশটি হচ্ছে ক্রসটাইপ। তাই ভিউফাইন্ডার দিয়ে অটোফোকাস তেমন একটা ভাল করে করা যায় না। ফোকাস হবে অনেক স্লো যা আপনাদের কাছে অনেকটাই বিরক্তিকর লাগতে পারে। পাখির উড়ে যাওয়া ছবি বা তামিম ইকবালের ছক্কা মারার ছবি তোলার জন্য যে দ্রুত গতির ফোকাস প্রয়োজন তা আপনারা এই ক্যামেরায় পাচ্ছেন না। এর উপরের লেভেলের ক্যামেরা যেমন ক্যানন ৮০০ডি ও ক্যানন ৭৭ডি তে ৪৫ টি ফোকাস পয়েন্ট দেয়া আছে যার সবগুলোই হচ্ছে ক্রসটাইপ। যার কারণে উপরের লেভেলের ক্যামেরাতে ফোকাসে তেমন সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। যারা ক্যানন ২০০ডী কিনবেন তাদেরকে পরামর্শ দেব কখনোই এর অপটিক্যাল ভিউফাইন্ডার ব্যাবহার না করার জন্য।
হাইস্পিড শটিং
এবার আসা যাক হাই স্পীড শুটিঙের দিকে। এই ক্যামেরায় শাটার স্পীড দেয়া হয়েছে ৩০ সেকেন্ড থেকে ১/৪০০০ সেকেন্ড পর্যন্ত। এছাড়া আপনি আরো পাচ্ছেন ৫.০ ফ্রেমস পার সেকেন্ডে ছবি তোলার ফিচার। কিন্তু সেকেন্ডে ৫ টি ‘র’ ছবি তোলা গেলেও এর বাফার হচ্ছে একদম খারাপ। এই ক্যামেরার বাফার রেট হচ্ছে ৫ অর্থাৎ আপনি হাই স্পীড শুট করতে গেলে এক সেকেন্ড পরেই আপনার বাফার শেষ হয়ে যাবে।
যদি রিয়াল ওয়ার্ল্ড উদাহরণ দিতে হয় তাহলে ধরুণ আপনি ক্রিকেট খেলা দেখছেন। বোলার বল করল। বল করার মুহূর্তে আপনি শাটার বাটন টিপ দিয়ে রাখলেন। কিন্তু এক সেকেন্ডে ৫ টি ছবি তোলার পর প্রতি সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলতে থাকবে। এতে করে আপনি ছক্কা মারার বা বোল্ড হবার ঠিক এক্সাক্ট মুহূর্ত আর তুলে রাখতে পারবেন না।
Canon 200D এর Jpeg বাফার রেট হচ্ছে প্রায় ৭৫ টির মত। তাই যদি হাই স্পীড মুভমেন্টের ছবি যদি ক্যামেরা দিয়ে তুলতেই চান তাহলে রেকমেন্ড করব ছবির ফরম্যাট Jpeg এ রাখার জন্য।
ভিডিও ফিচারস
ফটোগ্রাফির দিক থেকে কিছুটা দুর্বল হলেও ভিডিও কোয়ালিটির দিক থেকে পিছিয়ে নেই এই ক্যামেরা। এটির সেন্সর আর ইমেজ প্রসেসর আপার লেভেলের মডেলের সেইম টু সেইম হবার কারণে ভিডিও কোয়ালিটিতে কোন ধরণের পার্থক্য নজরে আসবে না।
যদি রিয়াল ওয়ার্ল্ড উদাহরণ দিতে হয় তাহলে ধরুণ আপনি ক্রিকেট খেলা দেখছেন। বোলার বল করল। বল করার মুহূর্তে আপনি শাটার বাটন টিপ দিয়ে রাখলেন। কিন্তু এক সেকেন্ডে ৫ টি ছবি তোলার পর প্রতি সেকেন্ডে একটি করে ছবি তুলতে থাকবে। এতে করে আপনি ছক্কা মারার বা বোল্ড হবার ঠিক এক্সাক্ট মুহূর্ত আর তুলে রাখতে পারবেন না।
Canon 200D এর Jpeg বাফার রেট হচ্ছে প্রায় ৭৫ টির মত। তাই যদি হাই স্পীড মুভমেন্টের ছবি যদি ক্যামেরা দিয়ে তুলতেই চান তাহলে রেকমেন্ড করব ছবির ফরম্যাট Jpeg এ রাখার জন্য।
কাদের জন্য ক্যানন ২০০ডি
ওভারভিউ পড়ে নিশ্চয়ই এতক্ষণে বুঝতে পেরে গিয়েছেন এই ক্যামেরা কাদের জন্য রিলিজ করেছে। তবুও যারা এখনো কনফিউশনে আছেন তাদের জন্য এই অংশ।
Canon 200D রিলিজ করা হয়েছে সম্পূর্ণ বিগিনার ভিডিওগ্রাফারদের জন্য। ফটোগ্রাফি হচ্ছে এই ক্যামেরার সেকেন্ডারি ফিচার। ক্যামেরার হালকা ওজন, হাই রেজোল্যুশন আর এফপিএসের ভিডিও এবং বিখ্যাত ডুয়াল পিক্সেল অটোফোকাস ক্যামেরাটিকে সম্পূর্ণ একটি ভিডিও অরিয়েন্টেড স্পেশালি ভ্লগিং ডিএসএলআর হিসেবে পরিণত করেছে। ক্যাজুয়াল ফটোগ্রাফিতে চালিয়ে নেয়া গেলেও Canon 200D তে হাই স্পীড বা প্রফেশনাল ফটোগ্রাফিতে তেমন কোন সুবিধাই পাবেন না। তাই ইন্সটাগ্রাম, ফেসবুক পেইজ বা ইউটিউব চ্যানেলের জন্য বা ইভেন্টে ভিডিও করাই হচ্ছে যাদের প্রধান উদ্দেশ্য আর ৪৫ হাজার টাকার নীচে বেস্ট অপশনটি চাচ্ছেন তারা চোখ বন্ধ করে নিয়ে নিতে পারেন Canon 200D। কারণ প্রফেশনাল আর এক্সট্রা ফিচার না থাকলেও লাইভ ভিউ ডিসপ্লে দিয়ে তোলা ফটো আর ভিডিও কোয়ালিটি ৫০/৫৫ হাজার টাকার ক্যামেরার সমান পাবেন। শুধু দোকানে গিয়ে ক্যামেরা চেক করার জন্য চোখ যা খোলা রাখতে হবে আর কি। আর যদি ফটোগ্রাফি আপনার মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তাহলে এই প্রাইস রেঞ্জে নিতে পারেন Canon 750D বা Nikon D5600। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামি মাসে Nikon D5600 নিয়ে লেখা পিসি বিল্ডার বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে আসবে।
যদি আপনার বাজেট হয়ে থাকে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে তাহলে পড়ে আসতে পারেন ক্যাননের মিড রেঞ্জ ক্যামেরা Canon 77D ও Canon 800D সম্পর্কে।