অবৈধ মোবাইল চিহ্নিত করতে ও ধরতে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন- বিটিআরসি’র সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে আইটি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটি।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর রমনায় বিটিআরসি কার্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া সিনেসিস আইটির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রেডিসন ডিজিটাল টেকনোলজিস লিমিটেড ও কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডি এই প্রকল্পে কাজ করবে।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু ও পরিচালনার জন্য প্রতিযোগিতামূলক দরপত্রের মাধ্যমে সিনেসিস আইটিকে মনোনীত করে বিটিআরসি। অনুষ্ঠানে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন বিটিআরসি’র পরিচালক, স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট, লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল এবং সিনেসিস আইটি’র ব্যবস্থাপনাপরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরী।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন— বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম. শহীদুল আলম প্রমুখ।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, ‘সিনেসিস আইটি যোগ্য হিসেবেই এই প্রকল্পের কাজ পেয়েছে এবং আমি আশা করবো, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের কাজ সম্পন্ন করবে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে। সব মিলিয়ে এটি একটি ফলপ্রসূ চুক্তি হবে বলে আমার আশা ‘
সিনেসিস আইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহরাব আহমেদ চৌধুরি বলেন, ‘এনইআইআর প্রকল্পটি সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাস্তবায়ন করা হবে।’
জানা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে এনইআইআর চালু ও পরিচালনার জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিটিআরসি এবং ৫ নভেম্বর বিটিআরসির পক্ষ থেকে সিনেসিস আইটির দরপত্র পাওয়ার নির্দেশনা (নোটিফিকেশন অ্যাওয়ার্ড) জারি করা হয়।
বিটিআরসি ২০১২ সালে প্রথম অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধ এবং বৈধ মোবাইল ফোনের নিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়। তবে বিভিন্ন কারণে তা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এ বছর দরপত্র আহ্বান ও একটি কোম্পানিকে নির্বাচিত করার মাধ্যমে পরিকল্পনাটি বাস্তব রূপ পাচ্ছে। চুক্তি করার ১২০ কার্যদিবসের মধ্যে সিনেসিস আইটিকে পুরো ব্যবস্থাটি চালু করতে হবে।
এ ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি আছে সিনেসিস আইটির। তারা জানিয়েছে, বিটিআরসির নির্দেশিত সব নির্দেশনা মেনে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে হার্ডওয়্যার আমদানি করতে ১৬ সপ্তাহ এবং ডাটা সেন্টার সেটআপ করতে ১২ সপ্তাহের মতো সময় লাগবে। আগামী বছরের শুরুর দিকে সবকিছু প্রস্তুত হবে বলে সিনেসিস আইটি আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।