অ্যাপলের বৈশ্বিক সুরক্ষা বিভাগের প্রধান থমাস ময়ারের বিরুদ্ধে ঘুষ দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের ৭০ হাজার ডলার মূল্যমানের আইপ্যাড ঘুষ দিতে সম্মত হয়েছিলেন। গত সোমবার ক্যালিফোর্নিয়ার গ্র্যান্ড জুরি এ অভিযোগ তুলেছেন। খবর বিবিসি।
ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তাক্লারা কাউন্টির দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ আনা হয়েছে। গোপন আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্সের জন্য কাউন্টির ডেপুটি শেরিফ রিক সাং ও ক্যাপ্টেন জেমস জেনসনের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অঙ্গরাজ্যের আইন অনুসারে, লাইসেন্স ছাড়া গোপন আগ্নেয়াস্ত্র বহন করা অপরাধ। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, শেরিফ রিক সাং অফিসে ৭০ হাজার ডলার মূল্যের ২০০ আইপ্যাড অনুদান দিতে রাজি না হওয়া পর্যন্ত অ্যাপলের সুরক্ষা দলকে গোপন অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল।
তবে শেষ মুহূর্তে ২০১৯ সালের ২ আগস্টে পরিকল্পনাটি বাতিল করা হয়। সে সময় রিক সাং ও ময়ার পুলিশের গোপন অস্ত্রের লাইসেন্সের রেকর্ডগুলো জব্দ করার জন্য একটি সার্চ ওয়ারেন্টের কথা জানতে পেরেছিলেন।
দুই বছর ধরে তদন্ত শেষে উঠে এসেছে, জেমস জেনসেনের সহায়তা রিক সাং আবেদনকারীরা কোনো অর্থ না দেয়া পর্যন্ত লাইসেন্স দিতে অস্বীকার করেছিলেন। এখন বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্তদের কারাভোগ করতে হতে পারে।
সান্তা ক্লারা কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি জেফ রোসেন বলেন, এটি বেআইনি। এগুলো ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা গভীরভাবে হ্রাস করে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা যখন ঘুষ গ্রহণের কেন্দ্রে থাকেন, তখন এটি সংস্থার প্রতীক, সম্মান ও মর্যাদাকে কলঙ্কিত করে। এটি খুবই দুঃখজনক। এটি সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কার্যকারিতাকে কলুষিত করে।
এদিকে ময়ারের আইনজীবী সোয়ানসন ব্লুমবার্গকে বলেছেন, সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি সংস্থাগুলোতে গুলি চালানোর ঘটনার পর ময়ার নির্বাহী ও কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য অস্ত্রের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছিলেন। তারা যেভাবে বলেছিলেন ঠিক সেভাবে লাইসেন্সের জন্য প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়েছিল। তবে সেটার সঙ্গে আইপ্যাড অনুদানের বিষয়টি যুক্ত ছিল না। এখানে কোনো ঘুষের বিষয় ছিল না এবং কোনো লেনদেন হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
সংস্থাটির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, অ্যাপলকে এ বিষয়টি জানানো হয়েছিল এবং এরপর ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত চালানো হয়েছিল। তদন্তে অন্যায় কিছু পাওয়া যায়নি।